231476

ঈদ আনন্দে উপচে পড়া ভিড় রাজধানীর বিপণীবিতানগুলোতে

ডেস্ক রিপোর্ট : পছন্দের পোশাক কিনতে শেষ মুহূর্তে রাজধানীর মার্কেটগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। ক্রেতার ভিড়ে পা ফেলাই কঠিন শপিংমলগুলোতে। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারতে রাজধানীবাসী ভিড় জমান অলিগলির ‘কাপড়ের দোকান’ থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে। এ কারণে গতকাল শুক্রবারের ফাঁকা ঢাকাতেও যানজট ছিলো বিপণিবিতানগুলোর সামনে। তবে সন্ধ্যায় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে বেচাকেনায় ছন্দপতন ঘটে, দুর্ভোগে পড়েন ক্রেতারা। সমকাল

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহ যাবত বেচাকেনা বেড়েছে। গুলশানের পিংক সিটি, শপার্স ওয়ার্ল্ড, নাভানা টাওয়ার, মনি ক্যাপিটাল সেন্টার ও পুলিশ প্লাজা সাজানো হয়েছে লাখ লাখ টাকা মূল্যের পোশাকে। এখানে একটি শার্ট সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শপার্স ওয়ার্ল্ডের বিক্রেতা মোহাম্মদ সায়েম বলেন, এখানে সাধারণ ক্রেতারা খুব একটা প্রবেশ করেন না। বিত্তবানদের চাহিদা বিবেচনা করেই দোকানে মালপত্র তোলা হয়।

কনকর্ড পুলিশ প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি, পিংক সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে দেখা যায়, এ শপিংমলগুলোতে পণ্যের দাম কিছুটা বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের মানের নিশ্চয়তা দিচ্ছেন তারা। এখনকার অনেক পণ্যই বিদেশি। তাই দাম চড়া হলেও মান ভালো।

ক্রেতারা বলছেন, পুলিশ প্লাজার সংগ্রহ খুবই ভালো। তবে দামটা একটু বেশি। তার পরও পছন্দ হওয়ায় কিনে ফেলেছেন বেশ কিছু পোশাক।

ঈদের বিক্রির শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে নেই শোরুমগুলোও। রিচম্যান-লুবনানের শোরুম, আড়ং, ইনফিনিটি, কে-ক্রাফট, অঞ্জনস, ইয়েলো, ফ্রিল্যান্ড, রেড, সিক্স লাইফ স্টাইল, লা রিভ, প্লাস পয়েন্টসহ প্রায় সব ব্র্যান্ডের শোরুমেই গতকাল ছিলো ধুম বিক্রি। এখানে শার্ট ১,৭০০ থেকে ৪,০০০ টাকা, প্যান্ট ১,৯০০ থেকে ৩,০০০ টাকা, পাঞ্জাবি দুই হাজার থেকে ৪,৮০০ টাকা, পলো টি-শার্ট ১,২০০ থেকে ১,৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দামের ব্যাপারে শোরুমের কর্মকর্তা মো. জনি বলেন, মান ভালো চাইলে দাম তো একটু বেশিই হবে। মান ভালো হওয়ায় ক্রেতারা খুশি বলেও জানান তিনি।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের কেউ কিনেছেন পোশাক, কেউ জুতা, কেউ প্রসাধনী। কেউ-বা সবকিছুই। সকাল থেকে রাত অবধি ছিল ক্রেতার ভিড়।

নিম্নবিত্তের ঈদের কেনাকাটার প্রিয় জায়গা বঙ্গবাজার। বঙ্গবাজারের আদর্শ হকার্স মার্কেট, মহানগরী ও বঙ্গ গুলিস্তান মার্কেট- তিনটিই এখন ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর। প্রতিদিন রাত ২টা পর্যন্ত চলেছে সেখানকার বেচাকেনা। তবে দরকষাকষি করেই সেখান থেকে কিনতে হচ্ছে পছন্দের পোশাকটি।

বিকেলের পর নিউমার্কেটের ছোট-বড় সব দোকানেই ছিলো ক্রেতার চাপ। বিক্রেতারা জানান, তাদের মার্কেটে শাড়ি, রেডিমেড সালোয়ার-কামিজ এবং শিশুদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। এখানে দরদাম করে সাধ্যের মধ্যেই কেনা যায়, তাই ক্রেতার ভিড় বেশি বলে জানান বিক্রয়কর্মীরা।

পাশের চাঁদনীচক ও গাউছিয়ায় দেখা যায়, তরুণীরা ভিড় জমাচ্ছেন অলঙ্কার ও প্রসাধনীর দোকানে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে অলঙ্কার কিনতে এসেছেন তারা।

নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই রাজধানীর অর্ধশতাধিক স্থানের ফুটপাতে চলছে ঈদের কেনাবেচা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট, গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাত, গোলাপশাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত, বঙ্গবাজার, শাহবাগ মোড় হয়ে কাঁটাবন মোড় পর্যন্ত রাস্তা, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচক এলাকা থেকে শুরু করে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পর্যন্ত ফুটপাতে যেমন ছিলো ভিড়, তেমনি ছিলো বিক্রি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.