255576

পর্নোগ্রাফি শিশুধর্ষণের ছবি তুলে, সস্ত্রীক গ্রেফতার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ পুলিশকর্তা

ডেস্ক রিপোর্ট : দু-জনেই পেডোফিল! নিষ্পাপ শিশুরাই বিকৃতকাম দম্পতির যৌনলালসার শিকার। ক্যামেরা অন করে, এঁরা নানা বয়সি শিশুদের ধর্ষণ করে। মুখটুকু ছাড়া নিজেদেরও আড়াল করেন না। করার প্রয়োজন বোধ করেন না। নগ্ন ভাবেই ধরা দেন ক্যামেরায়। ঘুরেফিরে নানা ভঙ্গিমায়। নামা মেজাজে। এতেই মজা দম্পতির। এতেই যৌনসুখ। আবার বাড়তি উপার্জনের পথও। টাইমস অব ইন্ডিয়া

যিনি রক্ষক, তিনিই ভক্ষক! যিনি সুন্দর ভবিষ্যত্‍ গড়ার কারিগর, তিনি আবার ধ্বংসেরও হোতা। প্রথম জন পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্তা, দ্বিতীয় জন পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। সম্পর্কে এঁরা স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, আরও একটা মিল রয়েছে এই শিক্ষিত দম্পতির। দু-জনেই পেডোফিল! নিষ্পাপ শিশুরাই বিকৃতকাম দম্পতির যৌনলালসার শিকার। ক্যামেরা অন করে, এঁরা নানা বয়সি শিশুদের ধর্ষণ করে। মুখটুকু ছাড়া নিজেদেরও আড়াল করেন না। করার প্রয়োজন বোধ করেন না। নগ্ন ভাবেই ধরা দেন ক্যামেরায়। ঘুরেফিরে নানা ভঙ্গিমায়। নামা মেজাজে। এতেই মজা দম্পতির। এতেই যৌনসুখ। আবার বাড়তি উপার্জনের পথও। কারণ, একের পর এক সেই ভিডিয়ো দিয়েই তৈরি হয় শিশু পর্নোগ্রাফি। সমাজের একশ্রেণির মানুষের কাছে শিশু পর্নোগ্রাফির চাহিদা যথেষ্ট। তাই চড়া দামে বাজারে বিকোতে বেগে হয় না। চাহিদা মতো জুগিয়ে চলেন। কিন্তু, অপরাধ দীর্ঘসময় চেপে রাখা যায় না। একদিন না একদিন সামনে আসে। সে ভাবেই সামনে এসে পড়েছে ব্রিটেনের ‘শিশুধর্ষক’ এই দম্পতির গুণকীর্তি।

পুলিশকর্তার নাম ডেনিস পার্কিনস (৪৪) এবং সিন্থিয়া পার্কিনস (৩৪) তাঁর স্ত্রী। দিন কয়েক আগেই পেডোফিল এই দম্পতি যুক্তরাজ্যের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এক-আধটা নয়, এই দম্পতির বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৬০টি যৌন অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের তালিকায় ধর্ষণ থেকে চাইল্ড পর্নোগ্রাফি– কিছুই বাদ নেই। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতারের মুহূ্র্তে ডেনিস তাঁর মোবাইল ফোনটি নদীতে ফেলে দেন। পুলিশের ধারণা, ওই মোবাইল ফোনটি হাতে এলে, এই দম্পতির অপকর্মের অনেক তথ্যপ্রমাণ সহজেই মিলত। কিন্তু, তদন্তে এর প্রভাব খুব একটা পড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন না।

লুইসিয়ানার লিভিংস্টন প্যারিশের তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পুলিশ দম্পতির একগুচ্ছ নগ্নছবি তাঁদের হাতে এসেছে। ছবির ফ্রেমে এই দম্পতির সঙ্গে শিশুরা অনাবৃত অবস্থায় ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, ডেনিস পার্কিনস লিভিংস্টন প্যারিসে শেরিফের স্পেশাল অপারেশন ইউনিটের লেফটেন্যান্ট। বুধবার গ্রেফতার হওয়ার পর ডেনিসের স্ত্রী সিন্থিয়াও স্কুলের শিক্ষিকার চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন। লুইসিয়ানার ওয়েস্টসাইড জুনিয়র হাইস্কুলে তিনি শিক্ষকতা করতেন।

লুইসিনিয়া ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, লুইসিনিয়া স্টেট পুলিশ ও লিভিংস্টন প্যারিস শেরিফ অফিসের যৌথ অভিযানে ধরা পড়েন এই দম্পতি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.