256978

দিল্লীর রাস্তায় বের হওয়া মানেই ১৪৮ টি সিগারেট খাওয়া!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক–ঘন ধোঁয়াশায় ছেয়ে গেছে দিল্লির আকাশ বাতাস। ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির লাখ লাখ লোকের সোমবার সপ্তাহ শুরু হয়েছে চোখ জ্বালা পোড়ার মধ্যদিয়ে। প্রচণ্ড বায়ু দূষণের কারণে তাদেরকে এ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে বায়ুর গুণমান ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে সমস্ত পরীক্ষাই।

দিল্লির বাসিন্দাদের শ্বাস নিতেই কষ্ট হচ্ছে। এই অবস্থায় চিকিত্‍সকরা পরামর্শ দিয়েছেন, শহর থেকে বেরিয়ে আসার। কারণ চোখ জ্বলছে, গলা শুকনো হয়ে যাচ্ছে, শ্বাসকষ্টে পড়ছেন সকলে। এখন রাজধানী শহরে নিরাপদ থাকাই হুমকির মুখে পড়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা ও রবিবার সকালে রাজধানী তে এক পশলা বৃষ্টি হয়। কিন্তু তাতেও দূষণ কমার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, বরং আরও বাজে হয়েছে। দূষণের চাদরে ঢেকেছে দিল্লি-এনসিআর । বয়স্ক এবং শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকারক। দূষণের জেরে স্কুল কলেজগুলি আগামি মঙ্গলবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত যাবতীয় নির্মানকাজও বন্ধ রাখা হয়েছে।

দূষণের কারণে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ফুসফুস ক্যান্সার, ফুসফুসের অসুখ এবং তীব্র শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সংক্রমণ দেখা দেয়। এই ঝুঁকির থেকে বাঁচতে অনেকে মনে করছে যে শহর ছেড়ে যাওয়াটাকে সমাধান বলে মনে করছে। গত কয়েক দিনে গুগলে সব থেকে বেশি সার্চ হয়েছে ‘How to stay safe’। যারা ধূমপান করেন না তাঁদের মনে হচ্ছে তাঁরা যেন দিনে ২৪ ঘণ্টা বিষাক্ত সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে রয়েছেন। হ্যাঁ ! এটা এতোটাই বাজে।

আপনি কী কখনো ভেবেছেন যে রাস্তায় হাঁটার সময় আপনার ফুসফুস যে ধোঁয়া শুষে নিচ্ছে সেটা দিনে কটা সিগারেটের সমান? এটা জানার জন্য রয়েছে একটি অ্যাপ। এই অ্যাপটির নাম ‘Shit, I Smoke’। এই অ্যাপটি গত বছর তৈরি করেছিলেন মার্সেলো কোয়েলহো আর অ্যামুরি মার্টিনি। এই অ্যাপটি চলবে iOS আর Android উভয়ে।

এই অ্যাপ অনুযায়ী সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ কেউ যোদি নয়ডাতে কিছুখন বাইরে থেকেছেন মানে আপনি ইতিমধ্যেই দিনে ২৫.৬টা সিগারেট খেয়ে ফেলেছেন।

যারা দিল্লিতে থাকেন, একটু হেঁটে গিয়ে বাড়ির সামনের দোকান থেকে দুধ কিনে ফেরা মানে আপনি সপ্তাহে ১৪৮.৫টি সিগারেট খেয়ে ফেলেছেন।অন্য দিকে মুম্বই আর বেঙ্গালুরুতে দূষণ অনেক কম।

ট্যুইট করে দিল্লিকে গ‍্যাস চেম্বারের সঙ্গে তুলনা করেছেন খোদ মুখ‍্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, হরিয়ানা, পঞ্জাবে কৃষিবর্জ‍্য পোড়ানোতেই গ‍্যাস চেম্বার হয়ে উঠছে দিল্লি। হরিয়ানা-পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি লেখারও আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.