256985

প্রচুর পুষ্টিগুণ ও নানা উপকারিতা পালং শাকের

ডেস্ক রিপোর্ট : শাক-সবজির মধ্যে পালং শাক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। সুস্বাদু এই শাকের রয়েছে নানা ধরণের কঠিন রোগ সারানোর কার্যকরী গুণ। এটি ভাজি কিংবা রান্না করে খাওয়া যায়। নানারকম অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকতে খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন এই সবুজ শাকটি। পালং শাকে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এ ও কে, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, খাদ্য আঁশ, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড ও সেলেনিয়াম। এছাড়া এতে আছে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম এর জন্য অপরিহার্য। তাই খাদ্য তালিকায় অবশ্যই রাখুন পালং শাক। চলুন, জেনে নিই পালং শাকের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

পালং শাকে থাকা ফ্লাভোনয়েডস ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর।

পালং শাকে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এর উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।পালং শাকে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলস থাকায় এটি মাসিকজনিত সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

পালং শাক দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা ভিটামিন এ দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য পালং শাক খুব উপকারী।

পালং শাকে বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, বলিরেখা পড়া ইত্যাদির দূরীকরণেও বেশ কার্যকর। এছাড়া এটা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করে এবং ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

বাতের ব্যথা, অস্টিওপোরোসিস, মাথাব্যথা দূর করতে ও প্রদাহনাশক হিসেবে পালং শাক কাজ করে। পালং শাকে প্রচুর আয়রন ও ভিটামিন ‘সি’ থাকায় রক্তস্বল্পতা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

পালং শাক পেট পরিষ্কার রাখতে অপরিহার্য। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। পালং শাকে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।

এই সবজিতে থাকা ফলিক এসিড সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ধরে রাখতে পালং শাকের ওপর নির্ভরতা রাখতে পারেন।

এছাড়া এতে রয়েছে লিম্ফোবিক এসিড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি ও ই কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দিনের বেলার ক্লান্তিভাব দূর করে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.