256987

মিনোয়ান সভ্যতার নিদর্শন সোনার গয়না ও কারুকার্যখচিত কাঁচ ক্রাইসি দ্বীপে

ডেস্ক রিপোর্ট : দ্বীপের নাম আইল্যান্ড অব ক্রাইসি। এটি গ্রিসের ক্রিট অঞ্চলের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। এক সময় মিনোয়ান সভ্যতার কেন্দ্রভূমি ছিলো এ দ্বীপ। ২৭০০ থেকে ১৪৫০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মিনোয়ান সভ্যতার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিলো এ অঞ্চলেই। তারপর ধীরে ধীরে অবলুপ্তি ঘটতে থাকে এ সভ্যতার। ১১০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায় মিনোয়ান সভ্যতা। সমকাল, আনন্দবাজার পত্রিকা

জানা যায়, মিনোয়ানকেই ইউরোপের প্রথম প্রগতিশীল সভ্যতা বলা হয়। মিনোয়ান সভ্যতার বিপুল সম্পদ সম্প্রতি খুঁজে পেয়েছেন প্রত্মতাত্ত্বিকরা। ক্রাইসি দ্বীপের মাটি খুঁড়ে তারা উদ্ধার করেছেন সোনার গয়না ও প্রচুর মূল্যবান সম্পদ। ক্রাইসির এ অঞ্চলে মিনোয়ান সভ্যতার বিশাল রতœভান্ডার রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩ হাজার ৮০০ বছরের পুরোনো ব্রোঞ্জ যুগের এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ির পর প্রত্মতাত্ত্বিক এই সাফল্য মিলে। সোনার গয়না ছাড়াও কারুকার্য করা কাচের নানা আকারের টুকরো উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে। এগুলো মিনোয়ানরা ব্যবসার কাজে লাগাতেন বলে মনে করছেন ইতিহাসবিদরা। গ্রিক পুরাণমতে, রাজা মিনোস থেকে এ সভ্যতার নামকরণ হয়েছে।

২০ শতকে ব্রিটিশ প্রত্মতত্ত্ববিদ আর্থার ইভান্স এ সভ্যতা আবিস্কার করেন। মিনোয়ান সভ্যতার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর ৫তলা বাড়ির সমান উঁচু প্রাসাদ। সে যুগে পানীয়জলের উন্নত ব্যবস্থাও ইতিহাসবিদদের নজর কেড়েছে। মূলত ক্রিট, এজিয়ান ও ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন এলাকার মধ্যে ব্যবসার ক্ষেত্রে মিনোয়ান সভ্যতার ব্যাপক প্রসার ঘটেছিলো। ব্যবসা সূত্রে মিসরের সঙ্গেও এ সভ্যতার যোগাযোগ ছিলো বলে জানিয়েছেন ইতিহাসবিদরা। মাটি খুঁড়ে যে কারুকার্য করা কাচের টুকরো মিলেছে, তার অনেকগুলো মিসরীয় সভ্যতার। তা থেকেই তাদের অনুমান, মিসরেও এ সভ্যতার বিস্তার ঘটেছিলো। রত্ন ভান্ডারের খোঁজে ওই এলাকায় খননকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন প্রত্মতাত্ত্বিকরা। তাদের বিশ্বাস, নতুন নতুন আবিস্কারে এ প্রাচীন সভ্যতা চমকে দেবে।
এমআই/এসবি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.