257261

কুমড়াবীজের নানা উপকারীতা…

মিষ্টিকুমড়া একটি অতিশয় ভিটামিন সমৃদ্ধ সবজি তা আমরা কমবেশি সবাই অবগত। কিন্তু এর বীজও যে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তা হয়ত খুব মানুষই জানে। বিভিন্ন রোগবালাই, ওজন কমানো রাতে নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম দিতে কুমড়াবীজের জুড়ি নেই। চলুন দেখে নে যাক কুমড়া বীজের বিভিন্ন উপকারীতা…

হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী : মিষ্টি কুমড়ার বীজে আছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর উদ্ভিজ্জ তেল, ফাইবার আর নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর এসব উপাদানই হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। বীজের ফ্যাটি এসিড ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমিয়ে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। এ ছাড়া বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।

নিরবচ্ছিন্ন ঘুম : মিষ্টি কুমড়ার বীজে আছে সেরোটোনিন, নিউরোকেমিক্যাল, যাকে বলা হয় প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ। এ ছাড়া এতে উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান নামের একটি অ্যামিনো এসিড পরবর্তী সময়ে শরীরের সেরোটোনিনে রূপান্তরিত হয়, যার কারণে রাতের ঘুম হয় নিরবচ্ছিন্ন। রাতে ঘুমানোর আগে অল্প কয়েকটি বীজ খেয়ে নিতে পারেন।

ব্যথা উপশমে সহায়ক : মিষ্টি কুমড়ার বীজে রয়েছে আর্থরাইটিস ব্যথা কমানোর উপাদান। হাঁটুর জয়েন্টের ব্যথা কমাতে বীজের তেল বেশ উপকারী।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় : বীজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর ফাইটোকেমিক্যালস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঠাণ্ডা, ফ্লু, ক্লান্তিসহ সব অবসাদ দূর হয় নিমেষেই।

প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় : বীজে জিংকের পাশাপাশি আছে ডাই হাইড্রো এপি-অ্যান্ড্রোস্টেনিডিওন যা প্রোস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা কমায়।

নিয়ন্ত্রণে রাখে সুগার লেভেল : মিষ্টি কুমড়ার বীজ ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে। মিষ্টি কুমড়ার বীজে আছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, যা সহায়তা করে সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

ওজন কমাতে সহায়ক : ওজন কমাতে খুব উপকারী। দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরিয়ে রাখে। প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যার কারণে খুব দ্রুত ক্ষুধাও লাগে না। বাড়তি খাবার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

চুলের বৃদ্ধিতে : মিষ্টি কুমড়ার বীজ চুলের বৃদ্ধিতেও বেশ সহায়ক। কারণ এতে আছে কিউকারবাইটিন নামক বিশেষ অ্যামিনো এসিড। এ ছাড়া এতে আছে ভিটামিন-সি, যা চুলের বৃদ্ধিতে উপকারী।

কীভাবে খাবেন মিষ্টি কুমড়ার বীজ

আপনি চাইলে এই বীজ কাঁচা অথবা ভেজে খেতে পারেন। ব্যবহার করতে পারেন বেকিংয়ে। স্যুপ বা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে। চিজের সঙ্গে বাদাম আর বীজ মিশিয়ে বা শসার সঙ্গে বীজ মিশিয়েও খেতে পারেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.