ঘূর্ণিঝড় নাকরি নিয়ে নতুন সতর্কতা
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বুলবুলের ক্ষত এখনও সাড়েনি। আরো একটি ঘূর্ণিঝড় এবার ভারতে আঘাত হানতে চলেছে। এমনটাই মত ভারতীয় আবহাওয়াবিদদের। ৯ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে উদ্ভূত অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তাণ্ডব চালায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে। ১২০ কিলোমিটার বেগে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আছড়ে পড়ে সুন্দরবনে। তবে আছড়ে পড়ার আগেই কিছুটা শক্তিক্ষয় হয় বুলবুলের। তবে এবার নাকি ‘নাকরি’ও সেই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
বুলবুলের পর এবার ‘নাকরি’র মুখোমুখি হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ। এই ঝড়ের প্রভাব পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশাকে। কিন্তু এই ঝড় কবে নাগাদ ভারতে এসে পৌঁছাবে সে সম্পর্কে কোনো সঠিক তথ্য এই মুহূর্তে জানা যায়নি।
ঝড়ের গতিপথও বদলে যেতে পারে যেকোনো মুহূর্তে। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘কিয়ার’, ‘মহা’, ‘বুলবুলের’ পর ‘নাকরি’ এত কম ব্যবধানে বঙ্গোপসাগরে পর পর চারটি ঘূর্ণিঝড়ে অশনি সংকেত দেখছেন আবহাওয়াবিদরা।
মিয়ানমারের পর ফের একবার বঙ্গোপসাগরের ওপরে আসবে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়াবিদদের এখানেই কপালে ভাঁজ। বঙ্গোপসাগর থেকে ফের একবার শক্তি সঞ্চয় করে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। আর তা যদি হয়, পশ্চিমবঙ্গের খাঁড়িয় অঞ্চলে বাড়তে পারে বিপদ। তবে ফের বিপদ ঘনাবে ভারতের দক্ষিণভাগ।
আপাতত যথেষ্ট শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় ধীর গতিতে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে। এরপর দক্ষিণ থাইল্যান্ড অতিক্রম করে মায়ানমারের দক্ষিণ ভাগে এসে পৌঁছাবে এই ঘূর্ণিঝড়।
ফ্রেজারগঞ্জ, সাগরদ্বীপ, বকখালি হয়ে স্থলভাগে ঢোকার পর অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় থেকে শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে আকার নিয়েছিল বুলবুল। এক টানা তিন-চার ঘণ্টা ধরে লণ্ডভণ্ড করে দেয় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ ব-দ্বীপ অঞ্চল। ঝড়ে তছনছ হয়ে যায় পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ উপকূলবর্তী অঞ্চল। বুলবুল এরপর বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরার দিকে এগিয়ে শক্তিক্ষয় করে নিম্নচাপে পরিণত হয়।