258533

১৫ টাকার পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়!

মাস কয়েক আগে কৃষকরা যে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ১৫ থেকে ১৭ টাকায়, বর্তমানে সে পেঁয়াজই বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। কৃষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা মজুদ করার পরই পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু করে। এক্ষেত্রে ধান-চালের মতো পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও সরকারি তদারকির দাবি জানান তারা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, এ বছর বাজারে পেঁয়াজের ভালো দাম থাকায় সামনের মৌসুমে উৎপাদন বাড়বে।

এদিকে বাংলাদেশের বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৬ লাখ টন। যার মধ্যে স্থানীয় উৎপাদন ১৮ লাখ টন। বাকি চাহিদাপূরণে ৮ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। যার বেশিরভাগই আসে পাশের দেশ ভারত থেকে। দেশটি মাস তিনেক আগে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য দ্বিগুণের বেশি করে। তখন থেকেই হু হু করে দেশের বাজারে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম।

আর একটু পেছনে ফিরলেই দেখা যায়, দেশের পেঁয়াজের প্রধান মৌসুমে ছয় মাস আগে কৃষকদের প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করতে হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। কৃষক থেকে ব্যবসায়ীদের হাতে যাওয়ার পরই দাম বাড়তে থাকে পেঁয়াজের।

এদিকে আগাম জাতের যে পেঁয়াজ লাগিয়েছেন কৃষকরা তা উঠতে শুরু করবে কয়েকদিনের মধ্যেই। যদিও এ পেঁয়াজও বৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান কৃষকরা। তাছাড়া ভালো দাম থাকায় কৃষক কিছুটা আগেই মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলবেন বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। যদিও এ পেঁয়াজ দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না।

এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ বছর পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। পেঁয়াজের চাষ এ বছর বেড়েছে।’

এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নাটোর জেলার উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের কারণে আগাম পেঁয়াজ আসতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। বাজার ভালো থাকায় কৃষকরা পেঁয়াজের আবাদ বাড়াচ্ছে।’

এদিকে সারাদেশে ২ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। গত পাঁচবছরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে পেঁয়াজের উৎপাদনও। তাই কৃষক পর্যায়ে ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে পারলে স্থানীয়ভাবেই পেঁয়াজের চাহিদা মেটানো অসম্ভব নয়।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.