258745

অনলাইন কর্মী সরবরাহে বিশ্বে বাংলাদেশ দ্বিতীয়, শীর্ষে স্থানে রয়েছে ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের এই দুর্দান্ত সাফল্যের কথা জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম। এক প্রতিবেদনে ফোরাম বলেছে, দ্রুত ডিজিটালাইজেশনের এই সময়ে বাংলাদেশের মতো অনেক উন্নয়নশীল দেশেই নজর দিয়েছে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে। গুরুত্ব দিচ্ছে বিশ্ব ডিজিটাল বাজারে আউটসোর্সিং-এ। কোনও দেশের অর্থনীতিতে ডিজিটালাইজেশন শুধু সেবা খাতে নিত্যনতুন উদ্ভাবনের পথকে প্রশস্ত করছে, তাই নয়। এটি একই সঙ্গে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে জোরদার করে। খরচ ও ঝুঁকি, দুটোই কম; এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশগুলোর বড়ো বড়ো কোম্পানীগুলো আইটি খাতে আউটসোর্সিং এর জন্যে বেছে নিচ্ছে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে। আর এতে করে ফ্রিল্যান্সিং এর সুযোগ দারুণভাবে বেড়ে গেছে। বলা চলে রীতিমতো বিপ্লব ঘটে গেছে এই খাতে।

ফ্রিল্যান্সিং এর জগত এখন অনেক বিশাল। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে ওয়েবডিজাইন, ট্যাক্স প্রিপারেশন এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন- সব কিছুই করানো যাচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে। আউটসোর্সিং এর এই বিশাল বাজারে কর্মী সরবরাহের ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে আছে এশিয়া। আর এশিয়ার মধ্যে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রথম স্থানটি দখল করে নিয়েছে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ।

অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইন্সটিটিউটের হিসেবে, বাংলাদেশে সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার তালিকাভূক্ত রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের তথ্যমতে, এই ফ্রিল্যান্সাররা বছরে ১০ কোটি ডলার আয় করছেন।

এই সংস্থার পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বে অনলাইন কর্মীদের ২৪ ভাগ সরবরাহ করে ভারত। বাংলাদেশ সরবরাহ করে ১৬ ভাগ। আর ১২ ভাগ কর্মী সরবরাহ করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিটি দেশের আলাদা আলাদা খাতে বিশেষত্ব রয়েছে। টেকনোলজি ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট খাতে প্রধান নিয়্ন্ত্রক ভারত। অন্যদিকে, সেলস এন্ড মার্কেটিং সাপোর্ট সার্ভিসের দিকে দিকে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.