258769

“নিজের জীবনের সফলতা বয়ে আনলেন বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত মেয়ের খেতাব পেয়েও”

ডেস্ক রিপোর্ট : লিজি ভালসাকেজ জন্মেছিলেন টেক্সাসের অস্টিনে ১৯৮৯তে। দেখতে রীতিমত ভয়ংকর, কুৎসিত, একটি চোখ অন্ধ। রঙ্গিন সভ্যতা স্বীকৃতি দিয়েছিলো তিনি বিশ্বের সবাচাইতে কুৎসিৎ মেয়ে! উইকিপিডিয়া

সবাই বলতো- আত্মহত্যা করতে, সবার থেকে লুকিয়ে থাকতে, মুখ ঢেকে রাখতে। কিন্তু সেইসব কিছু কানে না নিয়ে তখনই নিজের জীবনের চারটি লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছিলেন লিজি।

প্রথমত-একজন সুবক্তা হওয়া। দ্বিতীয়ত-নিজের লেখা বই প্রকাশ করা। তৃতীয়ত-স্নাতক অর্জন করা। চতুর্থত-নিজের কেরিয়ার ও পরিবার তৈরি করা।

সেই থেকেই গত সাত বছরে ২০০-র বেশি ওয়ার্কশপে বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। কীভাবে অভিনবত্বকে স্বীকৃতি দিতে হয়; বাধা, বিঘ্ন পেরিয়ে কীভাবে জীবনকে গ্রহণ করতে হয়; প্রতিকুল পৃথিবীতে ঘুরে দাঁড়াতে হয়; ভালোবাসতে হয়, এই সাত বছর ধরে সেই বিষয়ের ওপরই বক্তৃতা দিয়ে চলেছেন লিজি।

২০১০এ লিজি লিখে ফেলেন তার আত্মজীবনীমুলক বই ‘”Lizzie Beautiful’; ২০১২ সালে দ্বিতীয় বই ‘Be Beautiful, Be You’-যা ব্যাপক সাড়া পায় বিশ্বে।

বইটির শুরুতে লিজি বলেন- ‘এপিয়ারেন্স নয়; মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে অর্জিত গুন দিয়ে’। এই বছরই প্রকাশিত হতে চলেছে তার তৃতীয় বই।

টুইটারে এ লিজির এক বন্ধু বলেছে- ‘This young woman is a very good example of what it means to be truly beautiful’ আরেক বন্ধু বলেছে- ‘লিজি কুৎসিত নয়। কুৎসিত হলো লিজিকে দেখার আমাদের চোখ’

লিজির মা বলেছেন- “I love Lizzie, I would be proud to be her mom”

অথচ সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষ হয়েও আমরা অল্পেতে হতাশ হয়ে পড়ি। নিজের রুপ-চেহারা আমাদের ভোগায়। Fair & lovely, LUX’র বিজ্ঞাপন দেখে হীনমন্যতায় ভুগি! রঙ্গিন কর্পোরেট বিশ্বে নিজকে অসহায় ভাবি। ভাবি-চেহারায় সব!!

ভবিষ্যৎ কখনো রুপ দিয়ে সাজানো যায় না। যার যার কর্মই পারে ভবিষ্যৎ কে সাজাতে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.