259353

ইসলামের ভিত্তি হলো মানবিক মূল্যবোধ : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি হলো মানবিক মূল্যবোধ। অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্মের ভিত্তিও মানবিক মূল্যবোধ। খবর রুশ সংবাদ সংস্থা তাসের।

তিনি বৃহস্পতিবার কিরঘিজিস্তানের রাজধানী বিশকেকে আয়োজিত ‘অর্থোডক্স ও ইসলাম- শান্তির ধর্ম’ শিরোনামের এক সম্মেলনে এই কথা বলেন। এই সম্মেলনে রুশ প্রেসিডেন্টের বক্তব্য পাঠ করেন কিরঘিজিস্তানে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত নিকোলাই উদোভিচেনকো।

পুতিন তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ইসলাম ও অর্থোডক্স খ্রিস্টধর্ম মানুষকে ভালোবাসা, সম্মান করা এবং ন্যায়বিচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। তিনি বলেন, এই কারণে নাগরিক শান্তি ও ঐক্যকে শক্তিশালী করতে রাশিয়া ও কিরঘিজিস্তানের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সহযোগিতা করছে উভয় দেশের ধর্মীয় সংগঠনগুলো।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের ইতিবাচক ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস, বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সম্মান ও উপলব্ধিগুলো টিকিয়ে রাখা উচিত। তার মতে, উভয় দেশের প্রভাব বিস্তারকারী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং বৈজ্ঞানিক ও বিশেষজ্ঞ সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই সম্মেলন খুবই সময়োপযোগী।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আশা করি এই সম্মেলনে তরুণ প্রজন্মের সামাজিকীকরণে আধ্যাত্মিক, নৈতিক এবং পারিবারিক মূল্যবোধ সুরক্ষায় ধর্মীয় সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হবে। অপর এক খবরে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, তেলের বাজার ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে একটি অভিন্ন লক্ষ্য রয়েছে তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংস্থা ওপেক ও মস্কোর।

এ জন্য বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ চুক্তির আওতায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে রাশিয়া। বুধবার ওই সংস্থার ডিসেম্বরের সম্মেলনকে সামনে রেখে আলোচিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পুতিন বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উৎপাদক ও ভোক্তার কাছে বাজারকে ভারসাম্যপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য করা। আর এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর আমি জোর দিতে চাই।’ ‘

বুধবার সউদী আরবের বাদশাহ সালমান বলেছেন, গ্রাহক ও উৎপাদককে সেবা প্রদান এবং বৈশ্বিক তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছে রিয়াদ। আর ৫ ডিসেম্বর ভিয়েনার ওই সম্মেলনে তেলের প্রাথমিক মূল্য ঘোষণার পরিকল্পনা করেছে সউদী আরব। বৈশ্বিক চুক্তি থাকায় সেপ্টেম্বরে প্রতিদিন গড়ে ১১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করেছে রাশিয়া।

আর অক্টোবরে এটা কমিয়ে ১১ দশমিক ২৩ মিলিয়নে ব্যারলে আনে তারা। তবে পুতিন ফোরামকে জানিয়েছেন, ‘তেল সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে স্বাক্ষর সত্ত্বেও এর উৎপাদন ক্রমাগত বাড়াবে রাশিয়া। তবে অপরিশোধিত তেল উৎপাদনে বিশ্বে এক নাম্বার হওয়ার ইচ্ছা নেই মস্কোর।’

বর্তমানে এক নাম্বারে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তেল উৎপাদনকারী গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করা।’ আরটি, তাস, রয়টার্স।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.