259344

পরপর শূন্য রানে সাজঘরে তিন ‘এম’, দিশেহারা বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক| ইংরেজি ‘এম’ আদ্যাক্ষরটিকে অপয়াই ভাবতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভক্ত-সমর্থকরা। অন্তত আজকের দিনের জন্য এমন ভাবনা একদমই উড়িয়ে দেয়া যাবে না। কেননা তিন ‘এম’ আদ্যাক্ষরের ব্যাটসম্যান মুমিনুল, মিঠুন ও মুশফিক আউট হয়ে গেছেন শূন্য রানে, তাও পরপর! এই তিন ‘এম’ এর আগে পরে সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস ও সাদমান ইসলাম। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১৫ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকে হারিয়ে দিশেহারা বাংলাদেশ।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১৫ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ৪৭ রান। উইকেটে এসেই জোড়া বাউন্ডারি হাঁকানো লিটন দাস ৯ রানে খেলছেন। এখনও রানের খাতাই খুলতে পারেননি ১২তম ওভারে উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তে শুরুটা বেশ সাবধানীই করেছিলেন ইমরুল ও সাদমান। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে ভারতীয় ফিল্ডারদের জোরালো আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ইমরুল কায়েসের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন কট বিহাইন্ডের। তবে ইমরুল নিশ্চিত ছিলেন বলটা তার ব্যাটে লাগেনি, সঙ্গে সঙ্গে নেন রিভিউ।

রিপ্লেতে দেখা যায় বলটা লেগেছিল তার থাই প্যাডে। যার ফলে সে দফায় বেঁচে যান বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। কিন্তু এক বল পর, সে ওভারেরই পঞ্চম বলে ইশান্ত শর্মার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিটি বুঝতেই পারেননি তিনি। সোজা আঘাত হানে প্যাডে, লেগ বিফোরের সিদ্ধান্ত জানান আম্পায়ার। এবারও রিভিউ নেন ইমরুল।

কিন্তু রিপ্লেতে দেয়া যায় বলটা সোজা আঘাত হানতো লেগস্টাম্পে। যার ফলে আউটের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান ইমরুল। যার ফলে নিজেদের ইতিহাসের প্রথম দিবারাত্রির টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চাপেই পড়ে যায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

সেই চাপ কয়েকগুণ বেশি ভারী হয় পরের ৬ ওভারের মধ্যেই। ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলে অফস্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট এগিয়ে দিয়ে সেকেন্ড স্লিপে থাকা রোহিত শর্মার হাতে ধরা পড়েন মুমিনুল হক। এক পর সরাসরি বোল্ড হয়ে যান মোহাম্মদ মিঠুন। দুজনের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এ দুইজনের দেখাদেখি পরের ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই সোজা বোল্ড হয়ে যান মুশফিকুর রহীম। টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ব্যাটসম্যানের শূন্য রানের ফেরার মাত্র ৫ম ঘটনা এটি।

তিন এম খালি হাতে ফিরলেও ভালো খেলছিলেন ওপেনার সাদমান ইসলাম। কাউন্টার অ্যাটাকে একাই করছিলেন দলের সব রান। তাই তো দলীয় ৩৮ রানের মাথায় যখন ফিরে যান তিনি, তখন তার নামেই পাশেই লেখা ২৯ রান। বাকি ৯ রানের মধ্যে আবার ৫ রানই আসে অতিরিক্ত খাত থেকে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.