259478

পেঁয়াজ কারসাজিতে শুল্ক গোয়েন্দা, ৩৫০ প্রতিষ্ঠান রয়েছে সন্দেহের তালিকায়

ডেস্ক রিপোর্ট : পেঁয়াজ কারসাজিতে জড়িত সন্দেহে সাড়ে ৩’শ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এর মধ্যে শীর্ষ অর্ধশত পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুল্ক গোয়েন্দারা মনে করছেন, পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আমদানিকারকেরা।

গেলো তিন মাসে অন্তত ১৬৭ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবুও লাগামহীন পেঁয়াজের দাম। এনবিআরের তথ্য বলছে, যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, তাতে এতো দাম বাড়ার কথা নয়। ৩০ টাকায় কেনা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে আড়াই’শ টাকা পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতিতে কারসাজিতে জড়িতদের অনুসন্ধানে নেমেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।

শুল্ক গোয়েন্দার তথ্য- গেলো পহেলা আগস্ট থেকে ১৮ই নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে তিন’শ প্রতিষ্ঠান পেঁয়াজ আমদানি করেছে। এর মধ্যে অর্ধশত আমদানিকারক সরাসরি কারসাজিতে জড়িত মনে করছেন তারা।

এনবিআর বলছে, গেলো তিনমাসে আমদানির শীর্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জের টিএম এন্টারপ্রাইজ। কারসাজিতে জড়িত সন্দেহে এমন শীর্ষ ৪৭ পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিককে সোম ও মঙ্গলবার তলব করেছে শুল্ক গোয়েন্দা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, “২০১৯ সালের আগস্ট মাস থেকে শুরু করে নভম্বরের ১৮ তারিখ পর্যন্ত যারা পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তাদের তালিকা আমরা সংগ্রহ করেছি। এক হাজার মেট্রিক টন বা তার চেয়ে বেশি যারা আমদানি করেছে তাদের প্রথম পর্যায়ে আমরা ডেকেছি। আমরা তাদের কাছে জানতে চেয়েছি যে, তারা কাদের কাছে বিক্রি করেছে, কত দামে বিক্রি করেছে এবং তাদের কাছে কতটুকু মজুত আছে।”

কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিগগিরই এনবিআরে প্রতিবেদন দেবে শুল্ক গোয়েন্দা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.