259664

চীন থেকে পেঁয়াজ নিয়ে দেশে ফিরলেন তরুণী বাবা মায়ের আবদার মেটাতে 

ডেস্ক রিপোর্ট : চীন থেকে দামি প্রসাধনী বাদ দিয়ে বাবা মায়ের আবদার মেটাতে লাগেজ ভর্তি করে ১১ কেজি পেঁয়াজ নিয়ে দেশে ফিরছেন রিনি রাজীউন তিসা নামের এক তরুণী। ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরতে শাহজালাল বিমানবন্দরে তার লাগেজ খুলে ১১ কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যায়।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওই তরুণীর লাগেজ খুলে পেঁয়াজ দেখে অবাক হয়ে যান বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা।

তরুণী তিসা মূলত বাবা-মা পেঁয়াজ চাইলেন তাই অন্যসব বাদ দিয়ে চীন থেকে পেঁয়াজ নিয়ে আসার গল্প শুনালেন কাস্টমস কর্মকর্তাদের। তিসা জানিয়েছে সে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। কাজের একঘেয়েমিতা দূর করতে ছুটি পেলেই ঘুরে বেড়ান দেশ-বিদেশে। গত ১৪ নভেম্বর ছুটি পেয়ে চীনে গিয়েছিলেন এই ভ্রমণপিপাসু তরুণী।

তিসা জানালেন, দেশে ফেরার আগে ফোনে বাবা-মাকে জিজ্ঞেস করি কী আনব তোমাদের জন্য? বাবার জবাব, কিছুই লাগবে না। তবে যদি আনতেই চাও, তো কয়েক কেজি পেঁয়াজ নিয়ে এসো। শুনেছি ওখানে পেঁয়াজের দাম অনেক কম। ঢাকায় পেঁয়াজের দাম ২৫০ টাকা হয়েছে।

বাবার এমন কথা না মেনে পারলেন না তিসা। ফেরার আগে সোজা চলে যান একটি মুদি দোকানে। গিয়ে দেখেন ১১ কেজি পেঁয়াজ অবশিষ্ট রয়েছে সেই দোকানে। সব পেঁয়াজই কিনে নেন তিনি।

তিসা জানান, অন্য কোনো উপহার না কিনে বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৩৮ টাকা দরে ১১ কেজি পেঁয়াজ কিনে বাবা-মাকে উপহার দিয়েছি। ঢাকায় বিমানবন্দর কাস্টমসের কর্মকর্তারা সেই পেঁয়াজ দেখে যেমন মুচকি হেসেছিলেন চীনের ওই বিক্রেতাও সেভাবেই হেসেছেন।

তিসা জানান, চীনের ওই দোকানের বিক্রেতা আমার পেঁয়াজ কেনা অবাক হয়ে দেখেছিল। ১১ কেজি হবার পর একটা পেঁয়াজ বেশি ছিল, সেটাও গিফট হিসেবে দিয়ে দেয় সে। কোনো বিদেশি ভ্রমণে গিয়ে এত পেঁয়াজ কিনেছে এটা নাকি তার প্রথম অভিজ্ঞতা।

তিসা আরও জানান, দেশের বাইরে ভ্রমণে গেলে সেখান থেকে বাবা-মার জন্য উপহার কিনে এনেছি অনেকবারই। তারা খুশিও হয়েছেন। কিন্তু এবার পেঁয়াজ পেয়ে তারা যতটা খুশি হয়েছেন এতটা খুশি হতে দেখিনি কখনও।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.