259662

লিঙ্গ অনুপাতের দিকে নিচের রয়েছে বলে লক্ষাধিক ‘বউ কিনেছে’ হরিয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট : লিঙ্গ অনুপাতের দিক থেকে সবচেয়ে নিচের দিকে রয়েছে হরিয়ানার নাম। যেখানে বর্তমান সমাজেও বিয়ের জন্য বাইরের রাজ্য থেকে বউ কিনতে হয়। সমীক্ষা বলছে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১.৩০ লাখ বধূ কেনা হয়েছে নানাভাবে। অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই ঘোর বাস্তব।

সেলফি উইথ ডটার ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর ৩৭ বছরের সুনীল জাগলানরে নেতৃত্বে হরিয়ানায় একটি সমীক্ষা চালানো হয়। লাড়ো রাইটস বইয়ের লেখক জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে, যেখানে ১২৫ জন ভলিন্টিয়ার এই কাজে নিযুক্ত ছিলেন।

তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ১৪৭০ জন নববধূ শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছেন নামী দামী জিনিসপত্র নিয়ে। বেশিরভাগ নববধূই হয় নাবালিকা। সাধারণত রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা ও গ্রামের দিক থেকেই নাবালিকাদের ধরে আনা হয়। খুব কম মা-বাবা রয়েছেন, যারা পুলিশ স্টেশনে এসে অভিযোগ জানান। আবার যারা রাজ্যে নববধূ হিসেবে আসেন, তারা লুট করে বাড়ি থেকে চম্পট দিলেও থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় না। কারণ আইনি জটিলতার জন্য বেশিরভাগ মানুষ অভিযোগ দায়ের করেন না। সমীক্ষায় জানা গেছে, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে নববধূ কেনার প্রবণতা বেশি। অন্যান্য রাজ্য থেকে অবিবাহিত মেয়েদেরকে মাত্র ২০ হাজার টাকায় হরিয়ানায় বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই সবের পিছনে দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে খিলাড়ি এজেন্ট।

কেনার সময় পারো ও মল্কি বহু এই কোডই বেশি ব্যবহার করে হয়। বিশেষ করে হরিয়ানার জাঠ গোষ্ঠীর মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এছাড়া রোহতাক, জিন্দ, হিসার, কৈথাল, যমুনাগর ও কুরুক্ষেত্র এলাকার জাঠ, যাদব, রোর ও ব্রাহ্মণদের মধ্যে নববধূ কেনার চল রয়েছে। সমীক্ষায় জানা গেছে, ২০১২ সালে এই রাজ্যে ১০০০ জন ছেলের অনুপাতে মেয়েদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৮৩২ জন। ২০১৯ সালের আগষ্ট মাসে পর্যন্ত ১০০০ ছেলেদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা মাত্র ৯২০ জন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.