259984

কোনো রকম চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই ৫ উপায়ে অর্থ সঞ্চয় করুন!

ডেস্ক রিপোর্ট : জীবন সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য টাকা-পয়সা খুব জরুরি। এক কথায় আমাদের সমাজে সুখ-শান্তি, স্বাচ্ছন্দ্যবোধ সব কিছুই আসে টাকার বিনিময়ে। কিন্তু নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য সঞ্চয় করা খুব জরুরি।
বিপদ কখন কীভাবে আসে, তা কেউ জানেনা। তাছাড়া রোগেরও কোনো গ্যারান্টি কেউই দিতে পারে না। সব থেকে বড় ব্যাপার হচ্ছে বৃদ্ধ সময়ের জন্য হলেও সঞ্চয় করা খুব প্রয়োজন। কিন্তু অনেকেই জানেন না কীভাবে সহজ উপায় অবলম্বন করে অর্থ সঞ্চয় করতে হয়। দেখা যায়, হাতে টাকা আসলেই খরচ হয়ে যায়! তবে টাকা বাঁচানোর ব্যাপারটা বলা যত সহজ, করা ততই কঠিন।

জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে অর্থ সঞ্চয়ের সহজ কিছু উপায় সম্পর্কে জানানো হল-

সঞ্চয়ের জন্য আলাদা করে রাখুন

অনেকেই সকল খরচের পর যা অবশিষ্ট থাকে সেটা সঞ্চয় করার পরিকল্পনা করেন, যা ভুল পদ্ধতি। মানুষের প্রয়োজন কখনই ফুরায় না। ফলে সকল খরচ শেষ করার আগে অর্থই শেষ হয়ে যায়। তাই আগে নির্ধারণ করতে হবে মাসে কতটুকু সঞ্চয় করবেন। আর হাতে টাকা আসার পর সেই পরিমাণ অর্থ আলাদা করে রেখে দিতে হবে। এরপর যতটুকু অবশিষ্ট থাকবে সেটা দিয়ে মাসের খরচ চালানো চেষ্টা করতে হবে। এতে একসঙ্গে দুই কাজ হবে। মাসের শুরুতেই সঞ্চয় যেমন হবে তেমনি খরচের লাগাম টানার অভ্যাসও হয়ে যাবে।

অপচয় কমিয়ে সঞ্চয় বাড়ান

অর্থের ধর্ম অনেকটাই তরলের মতো, হাত থেকে সহজেই বেরিয়ে যায়। আর নিজের অজান্তেই আমরা অপচয় করে ফেলি। তাই হাতে টাকা আসার পর প্রথম কাজটি হওয়া উচিত কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো হয় সেটা চিহ্নিত করা।

হতে পারে বিলাশবহুল স্থানে বেড়াতে যাওয়া, অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা ইত্যাদি। কোথায় আপনার অর্থ অপচয় হচ্ছে সেটা চিহ্নিত করতে পারলে তা বন্ধ করার উপায় বের করা সহজ হবে। মনে রাখতে হবে, অর্থ অপচয় না করলেই তা সঞ্চয় হবে।

প্রয়োজনীয়তার মাত্রা বুঝুন

ভবিষ্যত পরিকল্পনা অনুযায়ী সঞ্চয় করা উচিত। সেই সঙ্গে কোন খরচটা বেশি জরুরি সেটা চিহ্নিত করা জানতে হবে এবং সে অনুযায়ী দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি সঞ্চয় করতে পারেন। যেমন বাড়ি কেনার জন্য চাই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তবে আগামী বছর একটি গাড়ি কিনতে চাইলে স্বল্পমেয়াদি সঞ্চয় পরিকল্পনা করতে পারেন।

পরিমাণ অল্প হলেও চালিয়ে যাওয়া

সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে একটি কাজ সচরাচর সবাই করেন, আর তা হল একবারে বড় অংকের টাকা জমানোর পরিকল্পনা। আর এই পরিকল্পনার সময় প্রাত্যহিক খরচের কথা মাথায় রাখা হয় না। মনে রাখতে হবে, অর্থ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ এবং ধরে রাখার স্পৃহাই মুখ্য বিষয়। বড় অংকের টাকা জমানোর জন্য নিজের উপর বাড়তি চাপ নেয়ার কোনো কারণ নেই। বরং এতে মাঝপথে সঞ্চয়ই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যতটুকু আপনার পক্ষে সঞ্চয় করা সম্ভব সে অনুযায়ী লক্ষ্য স্থির করতে হবে। আর একবার অভ্যাস হয়ে গেলে পরে আর অসুবিধা হয় না বললেই চলে।

বিনিয়োগ

শুধু টাকা জমানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। জমানো অর্থ থেকে ভালো কিছু পেতে চাইলে তা বিনিয়োগের চেষ্টা করতে হবে। বাজারে এমন অসংখ্য সুযোগ আছে। তবে যাচাই বাছাই করে জেনেশুনে বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। কারণ বিনিয়োগের অসংখ্য সুযোগের মাঝে সর্বহারা হওয়া ফাঁদও কিন্তু কম নয়। সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.