260151

কামরাঙা অনেক দ্রুত কিডনি নষ্ট করে ফেলে!

ডেস্ক রিপোর্ট : দেশি ফলের মধ্যে কামরাঙা অন্যতম। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দামও কম। পুষ্টি জোগায়, নানা রোগ প্রতিরোধে কাজ করে। চিকিত্সকরা বলছেন, ভিটামিন বি নাইন ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর কামরাঙা। যা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। তবে নতুন তথ্য দিয়ে অনেকটা চমকে দিয়েছে ‘কিডনি কেয়ার সোসাইটি’।

কিডনি কেয়ার সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা ডা. প্রতিম সেনগুপ্ত বলেন, রসালো ফল কামরাঙায় এতে অত্যধিক পরিমাণ অক্সালেট ও নিউরো টক্সিন থাকে। ফলে কিডনি রোগীর জন্য বিপদ। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অতিরিক্ত স্থূলকায় ভুগছেন এবং কিডনির রোগের ঝুঁকিতে আছেন অথবা যাদের কিডনিজনিত রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কামরাঙা না খাওয়াই ভালো। খবর সংবাদ প্রতিদিন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ মিলিলিটার কামরাঙার জুসে ০.৫০ গ্রাম অক্সিলিক এসিড রয়েছে। কামরাঙার মধ্যে নিউরো টক্সিনও রয়েছে। যাদের কিডনি দুর্বল বা অকার্যকর তাদের কিডনি এই মারাত্মক নিউরো টক্সিনকে বের করে দিতে পারে না। তখন এটি ব্রেন এবং নার্ভাস সিস্টেমের ওপর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। ফলে মাথা ঘোরা, মানসিক ভারসাম্যহীনতা, খিচুনি হওয়া, অজ্ঞান হয়ে পড়া এমনকি কোমাতে চলে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। গর্ভবতী মায়েদেরও কামরাঙা এড়িয়ে চলা উচিত। খেলে গর্ভজাত শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

তবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানান, ভিটামিন বি ফাইভ ও ভিটামিন বি সিক্স প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কামরাঙায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, কোলেস্টেরল কম করা এবং হাইপারটেনশন দূর করতে কামরাঙার জুড়ি মেলা ভার। শুধু কামরাঙা ফলই নয়, কামরাঙা গাছের পাতাও খুবই উপকারি। এতে রয়েছে এলাজিক অ্যাসিড, যা খাদ্যনালির ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। সর্দিকাশিতে দারুণ উপকারি। কামরাঙা চুল, ত্বক, নখ ও দাঁত উজ্জ্বল করে। মুখে ব্রন হওয়া আটকায়।

ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.