260386

 ধুতরার ফুল ও পাতায় হাঁপানির কষ্ট থেকে মুক্তি মিলবে!

ডেস্ক রিপোর্ট : গ্রাম বাংলার একটি অতি পরিচিত গাছ এটি। নাম ধুতরা গাছ। ধুতরা গাছের ফুলের সৌন্দর্য অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোরম। এই গাছের শাখা-প্রশাখার অগ্রভাগে ফুল ধরে, সাদা জাতের ধুতরা গাছে সাদা ফুল এবং কালো জাতের ধুতরা গাছে সাদা-বেগুনী মিশ্র রঙের ঊর্ধ্বমুখী ফুল ফোটে।

গাছ, পাতা, ফল সবই সবুজ বর্ণের। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো, কোনো পশুপাখি এর পাতা ও ফল খায় না। তবে জানেন কি এই গাছের পাতা ও ফুলের রয়েছে অনেক উপকারিতা-

> কৃষ্ণ ধুতরার শুকনা পাতা এবং ফুল বাসক পাতায় জড়িয়ে সিগারেটের মতো তৈরি করে, আগুন ধরিয়ে টানলে হাঁপানির কষ্ট কমবে।

> ধুতরা গাছের পাতা, মূল, ফুল ও ফল সিদ্ধ করে বুকে সেঁক নিন। শ্বাসকষ্ট কমে যাবে।

> জীবাণুঘটিত কারণে মাথার চুল উঠে গিয়ে টাক পড়লে, ধুতরা পাতার রস মাথার একপাশে লাগান, পরদিন অপরপাশে লাগাবেন এবং একদিন পর একদিন ব্যবহার নতুন চুল গজাবে।

> মাসিকে আগে অনেক নারীরই স্তনে ব্যথা করে! এক্ষেত্রে ধুতরা পাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেঁটে স্তনে প্রলেপ দিলে স্তনের ব্যথা কমে যাবে। পরে স্তন ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।

> ধুতরা পাতার রসের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করুন। তারপর সামান্য গরম অবস্থায় বাতের ব্যথার স্থানে মালিশ করুন, বেদনা কমে যাবে।

> মাথা ব্যথা কমাতে ধুতরার পাতা বেশ উপকারী। এক্ষেত্রে এর পাতা বাটে মাথায় কিছুক্ষণ রাখলে মুহূর্তেই ব্যথা কমে যাবে।

> ধুতরা পাতার রস কয়েক ফোঁটা কানে দিলেই কানের ব্যথা কমে যায়।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: ধুতরা গাছ অত্যন্ত বিষাক্ত। এর ফুল, পাতা, ফল সবই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অবশ্যই এর কোনোটিই খাবেন না। এগুলো শুধু বাহ্যিক ব্যবহারের জন্যই।

সূত্র: জায়ানুনলিমিটেডডটকম

পাঠকের মতামত

Comments are closed.