260428

অলৌকিক নন্দী পাথরের মূর্তি সম্পর্কে কিছু কথা জেনে রাখুন

ডেস্ক রিপোর্ট : অলৌকিক বা লৌকিক যাই ই বলি না কেন, তা আসলে মানুষের বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে থাকে। জগতে যা কিছু রটে, তার কিছু হলেও বটে! কথাটির সঙ্গে হয়তো কমবেশি সবাই পরিচিত।

এর অর্থ বোঝাতে বলতে হয় যা কিছু শুনছেন, তার কিছু সত্যিও হতে পারে। তেমনই সারাবিশ্বে সারাক্ষণই কিছু না কিছু অবাস্তব কিছু বাস্তবে ধরা দিচ্ছে। আর সেটিই হয়ে যাচ্ছে অলৌকিক। তবে এর কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। তেমনই অলৌকিক নন্দী পাথরের মূর্তির কথা জানুন। যেটি প্রতিদিনই একটু একটু করে বড় হচ্ছে।

সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের আনাচে-কানাচে অনেক মন্দির রয়েছে। এর মধ্যে ভারতবর্ষেই মন্দিরের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যেখানে আজো এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে, যা ব্যাখ্যা করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেসব বিষয় আজো তর্কের অতীত। ঠিক তেমনই একটি ধর্মস্থান হল অন্ধ্রপ্রদেশের যগন্তী উমা মহেশ্বরা মন্দির। এই মন্দিরের মধ্যে অবস্থিত নন্দীর পাথরের মূর্তিটি নাকি প্রত্যেক বছর একটু একটু করে আয়তনে বেড়ে ওঠে!

অন্ধপ্রদেশের কুর্নুল জেলায় অবস্থিত শিবের মন্দিরটি মাহাত্ম মুখে মুখেই চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। হাজার হাজার মানুষ এখানে ভিড় জমান প্রাচীন এই মন্দিরের সৌন্দর্য এবং সেই ঐশ্বরিক ক্ষমতা সম্পন্ন নন্দীর দর্শন করতে। স্থানীয়দের মতে, বছর পঞ্চাশ আগে নন্দীর যে আয়তন ছিল, বর্তমানে তার চেয়ে অনেকটাই বড়। তাদের বিশ্বাস, কোনো এক দৈবিক ক্ষমতাতেই বাড়তে থাকে নন্দী। আর সেই কারণেই একে জাগ্রত বলে পূজা করে থাকেন দর্শনার্থীরা।

ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষকেরা নন্দীর মূর্তিটি পরীক্ষা করেছিল। এটা প্রমাণ করতে যে বিশ্বাসের সঙ্গে বাস্তবের সত্যিই কোনো সামঞ্জস্য রয়েছে কি না! গবেষণার পর তারা জানায়, যে পাথরটি খোদাই করে নন্দীর মূর্তিটি তৈরি হয়েছে, সেই পাথর স্বভাবজাতভাবেই আয়তনে বাড়ে। গবেষণা করে দেখা গেছে, গত বিশ বছরে মূর্তিটি সত্যিই আকারে এক ইঞ্চি বৃদ্ধি পেয়েছে। নন্দী বেড়ে ওঠে বলে মূর্তিটির সঙ্গে লাগোয়া একটি পাথরের স্তম্ভ ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফলে দর্শনার্থীদের পূজা দেয়ার সময় নন্দীর চারিদিকে প্রদক্ষীণ করতেও সুবিধা হয়। জনৈক ঋষির মতে, এই কলি যুগেই নাকি মূর্তিটি জীবন্ত হয়ে উঠবে।

এই মন্দিরের আরো একটি অবাক করা বিষয় হল এ চত্বরে কোনো কাক দেখা যায় না। কথিত আছে, ঋষি অগস্ত একবার প্রায়শ্চিত্ত করছিলেন। সেই সময় কাকের দল তাকে বিরক্ত করেছিল। তখন ঋষি অভিশাপ দিয়েছিলেন, মন্দির চত্বরে আর কখনো কাকেরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এরও হয়তো কিছু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে!

মন্দিরের ভেতরে পুকুরে সারা বছরই পানি থাকে। মনে করা হয়, নন্দীর মুখ থেকেই নাকি এই পানি নির্গত হয় এবং সারাবছর ধারাবাহিকভাবে তা বয়ে চলেছে। এই মন্দিরের এক প্রান্তেই রয়েছে অগস্ত গুহা। স্থানীয়দের মতে, এখানেই নাকি শিবের আরাধনায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন ঋষি। তবে নন্দীর বেড়ে ওঠাই সবচেয়ে বেশি অবাক করে দর্শনার্থীদের। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.