260446

হাতিরঝিলে দেখা মিলল দ্বিতীয় মাদার তেরেসার!

ডেস্ক রিপোর্ট : রাত তখন ১১টা হাতিরঝিলে অবসর কাটানো মানুষের আনাগোনা। হাতিরঝিলের ল্যাম্পপোস্টের আলোতে ঘোমটা দেয়া বয়স্ক এক নারী নিজের হাতে বানানো চুড়ি-মালা, কানের দুল বিক্রি করেন। কিন্তু সারাক্ষণই নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা। নিজের পরিচয় দিতে অস্বীকার জানায়। কিন্তু কে এই নারী? তিনি নিজের পরিচয় জানাতে চান না। সব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান।

অনেক কষ্টে তার পরিচয় জানা গেলো। তার নাম রাজিয়া খাতুন। তিনি একটি স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ছিলেন। রাজিয়া খাতুন বলেন, আমার উদ্দেশ্যই মানুষকে সাহায্য করা। আমার পরিচয় প্রকাশ করতে চাই না। জনসেবা, মানুষ সেবা করার জন্য আমি এটা করি। আমার ছেলেমেয়ে, আত্মীয় স্বজনরা কেউ জানে না। ঐদিন একটা ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়েছিলো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। কালকে হাসপাতালে তার অপারেশনের টাকা দিতে হবে, মা-বোনদের খাওয়াতে হবে।

রাজিয়া খাতুনের তিন মেয়ে এক ছেলে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি নিজের বানানো চুড়ি, মালা, কানের ধুল হাতিরঝিলে বিক্রি করে থাকেন। কিন্তু তিনি এগুলো নিজের জন্য বিক্রি করেন না, অন্যের জন্য এগুলো বিক্রি করেন।

সেবাই পরম ধর্ম, স্বামীর মৃত্যুর পর এই বোধটাকে তাড়িয়ে বেড়ায়। সেই তাড়নায় হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছোটাছুটি করেন। সন্ধার অন্ধকারে নিজের নাম পরিচয় লুকিয়ে সামান্য কিছু টাকা আয় করে দুস্ত রোগীদের পাশে দাঁড়ান। ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মোসা নামে এক রোগীকে ভর্তি করিয়েছেন এই রাজিয়া খাতুন। শুধু মোসা নয় এরকম আরও অনেক মোসার চিকিৎসা চালাচ্ছেন রাজিয়া খাতুন। এদের কারো কাছে রাজিয়া মা আবার কারো কাছে খালাম্মা আবার কারো কাছে মানুষের চেয়েও বড় কিছু। সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.