ভারতের হুগলিতে তরুণীর উপর যৌন নির্যাতন মাঝরাস্তায়!
ডেস্ক রিপোর্ট : এরাজ্যের নারীরাও যে সুরক্ষিত নন, ফের তা প্রমাণ করল হুগলির এক ঘটনা। ফের বিকৃত লালসার শিকার তরুণী। হুগলির উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের অদূরে বছর ৩০-এর ওই তরুণীর উপর যৌন নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে, নির্যাতনের জেরে বাকশক্তি হারিয়েছেন নির্যাতিতা।
২৫ ডিসেম্বর হাসপাতালের পাশে রাস্তার উপর শুয়েছিলেন ওই তরুণী। ঘুমন্ত মহিলাকে টেনে তুলে তার উপর যৌন নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে ওই যুবক। মহিলা প্রাণপণে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও একা পেরে ওঠেননি। বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে পড়তেই অভিযুক্তকে ধরে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। সেই সময় ওই যুবক পালিয়ে গেলেও ফের সে ফিরে যায় ঘটনাস্থলে। ফের চড়াও হয় তরুণীর উপর। আবারও স্থানীয়দের নজরে পড়ে যায় সে। এবিষয়ে পুলিশকে জানানো হলেও ওই তরুণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি কেউ। টানা দু’দিন পিএম রোডের একটি আবাসনের নিচে পড়ে ছিলেন নির্যাতিতা। খবর পেয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অত্যাচারের ফলে নিজের নাম বলার শক্তিও হারিয়েছেন ওই তরুণী। এই পরিস্থিতিতে তরুণীকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এরপরই ঘটনার প্রকৃত তদন্তের দাবিতে সরব হন উত্তরপাড়ার বাসিন্দারা। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এরপর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে শুক্রবার অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। সূ্ত্রের খবর, অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে যে, সে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। কাজের খোঁজে উত্তরপাড়া এসেছে। অভিযুক্তের দাবি, ওই তরুণী তার চাদর কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই চাদরটা নিতে গিয়েছিল ওই যুবক, তরুণীর উপর কোনও রকম অত্যাচার সে করেনি। কিন্তু সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে কেন বাংলায় কাজের জন্য এসে পথে পথে রাত কাটাচ্ছে তার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে অভিযুক্তকে রীতিমতো অত্যাচার চালাচ্ছে। তাই তাঁর অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা স্পষ্ট। তাই অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। সংবাদ প্রতিদিন