260618

ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে, ট্রাম্পের হুমকি

ডেস্ক রিপোর্ট : ইরাকে মার্কিন দূতাবাসে হামলার জন্য ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানকে দায়ী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও তিনি হুমকি দিয়েছেন। সূত্র: বিবিসি।

মঙ্গলবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালিয়ে সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তারা যক্তরাষ্ট্র বিরোধী নানা স্লোগান দেয়। রোববার ইরাকে মার্কিন বিমান হামলার প্রতিবাদে এ হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ ইরাকি জনতা। ওই বিমান হামলায় ইরান সমর্থিত কাতায়েব হেজবুল্লাহর ২৫ যোদ্ধা নিহত ও ৫৫ জন আহত হয়েছিলেন।

ইংরেজি নববর্ষের দিনে উপলক্ষে দেয়া এক টুইটে দূতাবাস হামলার নিন্দা করেছেন ট্রাম্প। ইরানকে হুমকি দিয়ে টুইটারে তিনি বলেন, এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি হলে ইরানকে ‘অনেক বড় মাশুল দিতে হবে’।

টুইটে তিনি বলেন,‘আমাদের কোনো স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির জন্য ইরান পুরোপুরি দায়ী হবে। তাদেরকে অনেক বড় মাশুল দিতে হবে। এটা সতকর্তা নয়, হুমকি। শুভ নববর্ষ!’

তবে ওই হামলায় কোনো প্রাণহানি হয়নি বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। হামলার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, দূতাবাসের অভ্যন্তরে কূটনৈতিক কর্মীরা নিরাপদ রয়েছেন। ফলে সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেয়া হয়নি

এদিকে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলার পর ওই অঞ্চলে তাৎক্ষণিকভাবে ৭৫০ মার্কিন সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইক এস্পার।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, মঙ্গলবার বাগাদদের মার্কিন দূতাবাসে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এসময় তারা দূতাবাসের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলে ভিতরে প্রবেশ করে এবং দূতাবোসের সামনের অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় হামলাকারীরা ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’বলে স্লোগান দেয় এবং মার্কিন সেনাদের ইরাক থেকে বহিষ্কারের দাবি জানায়। এসময় বিক্ষোভকারীরা মার্কিন পতাকাতেও অগ্নিসংযোগ করে।

বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদনে গ্যাস নিক্ষেপ করে দূতাবাস ভবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকারী মার্কিন সেনারা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.