260742

সোলেমানি নিহতের ঘটনায় মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধপতাকা‘ ওড়ালো ইরান (দেখুন ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন হামলায় জেনারেল কাসেম সোলেমানি নিহত হওয়ার ঘটনায় আসন্ন প্রতিশোধের ইঙ্গিত জানিয়ে পবিত্র মসজিদের চূড়ায় ‘যুদ্ধের লাল ঝাণ্ডা’ উড়িয়েছে ইরান।

শনিবার ইরাকের বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস ও সালাহউদ্দিন প্রদেশে মার্কিন সেনাদের বালাদ বিমান ঘাঁটিতে রকেট হামলার ঘটনা ঘটে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই ইরানের কম প্রদেশের পবিত্র মসজিদ জামকারান’র সর্ব্বোচ্চ গম্বুজে রক্তলাল পতাকা ওড়ায় ইরান।

যদিও বাগদাদের মার্কিন স্থাপনায় কারা হামলা চালিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। ওই হামলায় একযোগে ৫টি রকেট ছোড়া হয়। এতে এখন পর্যন্ত ৫ জন আহত বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ইরান জামকারান মসজিদে রক্তলাল পতাকা ওড়ালো। পতাকাটিতে লেখা, ‘যারা হোসেনের রক্তের বদলা নিতে চায়’।

এই পতাকা ওড়ানোকে সোলেমানি হত্যার দায়ে আমেরিকার ওপর ইরানের বদলা নেয়ার অঙ্গীকার হিসেবে দেখা হচ্ছে। সম্ভাব্য যুদ্ধের হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা হচ্ছে এ পতাকাকে। শিয়া সংস্কৃতিতে লাল পতাকা দিয়ে অন্যায় রক্তপাতের বদলা নেয়ার প্রতীক।

এর আগে শুক্রবার কাসেম সোলেমানিকে হত্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ বাগদাদের রাস্তায় নেমে আসে ও ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।

বৃহস্পতিবার রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এলিট কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেমানি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয় বলে নিশ্চিত করে পেন্টাগন।

ওই ঘটনায় ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আমির হাতামি, ইরানি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজায়িসহ ইরানের উর্ধ্বতন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা সোলেমানি হত্যার ঘটনায় আমেরিকাকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.