261167

পায়ে ভর করেই জীবন যুদ্ধে নেমেছে এই নারী

ডেস্ক রিপোর্ট : জন্ম থেকেই তিনি বিকলাঙ্গ। দুই হাতের একটিও নেই। তাতে কি? পা দুটি তো রয়েছে। পায়ের উপর ভর করেই ৪২ বছর যাবৎ জীবন নিয়ে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন এই নারী।

তার জন্য দুঃসাধ্য নয় কোনো কাজই। হাতের সব কাজই তিনি পা দিয়ে করে অভ্যস্ত। মোবাইল ব্যবহার থেকে শুরু করে লেখাপড়া এমনকি ছবি আঁকাতেও রয়েছে তার অসামান্য দক্ষতা। তার নাম স্বপ্না আগস্টাইন। কেরালার আর্নাকুলাম জেলায় বসবাস করেন তিনি। পেশায় একজন চিত্রশিল্পী।

স্বপ্না গর্ভে থাকাকালীন তার বাবা একদিন স্বপ্ন দেখেন, দুই হাত ছাড়া একটি শিশু জন্ম নিয়েছে তাদের ঘরে। এর ঠিক তিন মাস পরই তাদের ঘর আলোকিত করে আসে এক নবজাতক। এজন্য তার নাম দেয়া হয় স্বপ্না। চার বছর বয়সেই স্বপ্না নার্সারিতে ভর্তি হয়। অতঃপর সে পায়ের সাহায্যে লেখার অভ্যাস গড়তে থাকে। লেখাপড়ার প্রতি বরাবরই ছিল তার ঝোঁক।

ছোট থেকেই ছবি আঁকানোর প্রতি দুর্বলতা ছিল তার। তার প্রতিটি কাজেই ছিল পরিবারের সহযোগিতা। এরপর উচ্চ মাধ্যমিকের আগেই মাউথ অ্যান্ড ফুট পেইন্টিং অ্যাসোসিয়েশনে (এমএফপিএ) যোগ দেন স্বপ্না। এরপর সে দুই বছরের জন্য সেখানে পেইন্টিং কোর্স করেন।

স্বপ্না তার পা দিয়েই রাঙিয়ে তোলেন ক্যানভাস। তার ছবিগুলো প্রদর্শনীতে যায়। আবার বিক্রিও হয় অনেক। তার মা বলেন, আমার মেয়ে পা দিয়ে আঁকিয়েই সবার নজর কেড়েছে। তার জন্য আমার অনেক গর্ব হয়। পেইন্টিংয়ের জন্য সে আজীবন কম লড়াই করেনি। স্বপ্না তার কৃতকর্মের জন্য একাধিক সম্মাননা ও পুরষ্কার পেয়েছে।

পেইন্টিংয়ের পাশাপাশি স্বপ্না বিকলাঙ্গদের হয়ে সমাজের সঙ্গে লড়াই করছেন। তার মতে, প্রতিবন্ধীরা সমাজের অভিশাপ নয় বরং আশির্বাদ। স্বাভাবিক মানুষের মতোই এদেরও রয়েছে চোখ ভরা স্বপ্ন। তাদেরকে উৎসাহ ও সহযোগিতা করার দায়িত্ব সমাজেরই। সূত্র: বারক্রফটটিভি

পাঠকের মতামত

Comments are closed.