261338

বিয়ের অন্তত দুই মাস আগে কনের খতনা করার নৃশংস প্রথা!

ডেস্ক রিপোর্ট : মেয়েদেরও খতনা দেয়া হয়। আর এই প্রথা আফ্রিকার অনেক দেশই মেনে থাকে। এমনই এক বীভৎস নিয়ম রয়েছে সুদানে। বিয়ের অন্তত দুই মাস আগে কনের যৌনাঙ্গ ছেদ করা হয়। অর্থাৎ তার খতনা দেয়া হয়।

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয়টি হলো, এই খতনা কোনো চিকিৎসক দ্বারা সম্পন্ন হয়না। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কিছু নারী এই কাজটি করে থাকে। অত্যন্ত অপরিষ্কার পরিবেশে ছুরি, কাঁচি দ্বারা খতনা সম্পন্ন করা হয়।

যৌনাঙ্গের অগ্রভাগ (ল্যাবিয়া) কেটে অতঃপর সেলাই করার মাধ্যমে খতনা সম্পন্ন করা হয়। অত্যন্ত নৃশংস এই ঘটনার মধ্য দিয়ে সেখানকার প্রতিটি মেয়েকে যেতে হয়। তেমনই এক নারী বিবিসিকে জানান, খতনার পর প্রস্রাবে সমস্যা হয়। এমনকি ঠিকমতো হাঁটাও যায় না।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ৮৭ শতাংশ সুদানের নারীদের এই খতনার মধ্য দিয়ে যান। ১৪ থেকে ৪৯ বছরের কেউই বাদ যান না। এই খতনা করার জন্য প্রয়োজন পড়ে পাঁচ হাজার সাদানিস পাউন্ড। যা ১১০ মার্কিন ডলার। এই খতনার মাধ্যমেই নারীর কুমারিত্ব প্রকাশ পায়। এটাই তাদের রীতি। যদিও সুদানের কোনো ক্লিনিকই এই হাইমনোপ্লাস্টি বা লিঙ্গ ছেদ করে না। এতে নারীরা শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভুগে থাকেন। সূত্র: ফেসটুফেসআফ্রিকা

পাঠকের মতামত

Comments are closed.