261585

করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিমানে খাবার-কম্বল দেওয়া বন্ধ

ডেস্ক রিপোর্ট : চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলছে। তবে সংক্রমণ ঠেকাতে সব রকমের তৎপরতা জারি করেছে দেশটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চীনগামী অধিকাংশ বিমানে গরম খাবার, কম্বল, সংবাদপত্র দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সংক্রমিত ব্যক্তির স্পর্শ থেকে যাতে ভাইরাস না ছড়ায়-তা নিশ্চিত করতেই এসব সামগ্রী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ইতিমধ্যে চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৭১১ জন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের চীনা এয়ারলাইন্স যাত্রীদের নিজস্ব বোতল সঙ্গে আনার পরামর্শ দিয়েছে। গত সোমবার থেকে এই সংস্থার বিমানে গরম খাবার দেওয়া বন্ধ করা হয়। টেবিল ক্লথ, ন্যাপকিনের মতো পুনর্ব্যবহারযোগ্য দ্রব্যের বদলে দেওয়া হচ্ছে একবার ব্যবহারযোগ্য পেপার টাওয়েল।

বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কম্বল, বালিশ, তোয়ালে, ম্যাগাজিন, সংবাদপত্রও। তবে পানির বোতল বা হেডফোন অনুরোধের ভিত্তিতে মিলছে।

হংকংয়ের বিমানগুলোতেও একই ব্যবস্থা। চীন থেকে ফেরা সব কয়টি বিমানকে প্রতিটি যাত্রার পর সংক্রমণমুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে থাই এয়ারওয়েজ।

এই বিমান সংস্থার এক কর্মকর্তার বলেন, ‘আমাদের প্রতিটি বিমানে এলসিডি স্ক্রিন রয়েছে। সেগুলোকে প্রতিবার সংক্রমণমুক্ত করা খুবই মুশকিল।’

এদিকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, হংকং ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ, আমেরিকান এয়ারলাইন্স তাদের চীনগামী বিমানে কর্মীদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে।

চীনের পর করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত থাইল্যান্ড। সেখানে ১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

সব দেশের নাগরিকদের জীবনরক্ষায় চীন গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো দেশ যদি চীনে আটকা পড়া নাগরিককে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়, তবে চীন প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা করে দেবে। সব দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য ও জীবনরক্ষাকে গুরুত্ব দেয় চীন।’

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহর থেকে শত শত বিদেশি নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এবং নিহতের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের উহান থেকে সরিয়ে নিচ্ছে।

তবে বিস্তার ঠেকাতে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ চীনগামী বিমানের ফ্লাইট বাতিল করছে। এর মধ্যে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, এয়ার এশিয়া, ক্যাথে প্যাসিফিক, এয়ার ইন্ডিয়া ও ফিনএয়ার ইতিমধ্যে চীনগামী বিমানের সংখ্যা কমিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। সূত্র : আমাদের সময়

পাঠকের মতামত

Comments are closed.