চীনে করোনাভাইরাসে প্রাণ গেল তরুণ চিকিৎসকের
ডেস্ক রিপোর্ট : চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেছেন তিনি। অবশেষে সেই ভাইরাসের সঙ্গেই যুদ্ধ করে মারা গেলেন সং ইংজি নামে এক চিকিৎসক। ১০ দিনের নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ের পর হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ২৭ বছর বয়সী এ তরুণ চিকিৎসক।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুনান প্রদেশের স্থানীয় একটি ক্লিনিকের দলনেতা ছিলেন সং ইংজি। এটি করোভাইরাসের উৎসস্থল হুবাই প্রদেশের সীমান্ত এলাকা।
ডেইলি মেইলে খবরে বলা হয়েছে, চীনের হুনান শহরের গাড়িচালকদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন ওই তরুণ চিকিৎসক। করোনাভাইরাসের প্রতিরোধ যুদ্ধে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে একটানা কাজ করেছিলেন সং ইংজি।
চীনে মহামারি আকারে দেখা দেওয়া বিরল রোগ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজের জীবন উৎসর্গের জন্য বীর হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছেন এই তরুণ চিকিৎসক। তিনি হেংশান প্রদেশের কাইয়ুন শহরের বাসিন্দা ছিলেন।
তার দুই বছরের বড় বোন বর্তমানে উহানে দুই সপ্তাহ ধরে কোয়ারান্টিনে আটকে আছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে গতকাল বুধবার একদিনেই ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চীনের মূল ভূখণ্ড ও এর বাইরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে। গতকাল চীনে নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৯৮৭ জন।
এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে ২৭ হাজার ৩৭৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। চীনসহ সারা বিশ্বে এ সংখ্যা ২৭ হাজার ৬০২ জন। বিশ্বের ২৮টি দেশ ও অঞ্চলে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীনের বাইরে হংকং ও ফিলিপাইনে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। পরে সারা বিশ্বে মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চীন ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ। হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ।