261929

অনূর্ধ্ব-১৯: বাংলাদেশ-ভারতের ৫ ক্রিকেটারের শাস্তি

ডেস্ক রিপোর্ট : গত রোববার ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনাল ম্যাচে শেষ মুহূর্তে জয়ের জন্য এক রান দরকার ছিলো বাংলাদেশের। মিড উইকেট বল ঠেলে দিয়ে রাকিবুল হাসান এক রান নিতেই উৎসবে ফেটে পড়েন সাইডলাইনে দাঁড়ানো থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। আকবর-রাকিবুলদের দিকে ছুটে যান সাকিব-তামিম-ইমনরা। উদযাপন করতে গিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। পুরো ম্যাচ জুড়ে যে তীব্র আবেগ ও উত্তেজনার রেশ ছিলো তারই কিছুটা বহিঃপ্রকাশ ঘটে উভয় দলের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে। তবে ক্রিকেটে এমন আচরণের অনুমতি নেই। আর তাই সেদিনের ফাইনালের ভিডিও ফুটেজ দেখে আইসিসি উভয় দলের ৫জন খেলোয়াড়কে কয়েকটি ম্যাচ নিষিদ্ধ করেছে।

অভিযুক্ত ক্রিকেটাররা তাদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। শাস্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের তিন ক্রিকেটার হলেন তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন ও রকিবুল। এছাড়া ভারতের দুই ক্রিকেটার হলেন আকাশ সিং এবং রবি বিষ্ণু।

হৃদয়, শামিম ও আকাশ সিং এর নামের পাশে ৬ ডিমেরিট এবং রাকিবুল ও বিশ্নই এর নামের পাশে যোগ হয় ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট। এছাড়াও ভারতের বিশ্নইকে অভিষেক দাসের উইকেটের পর অশোভন অঙ্গভঙ্গির দায়ে আরো ২ ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়। তবে ১০ ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন হৃদয়। আর শামীম ৮ ম্যাচ ও রকিবুল ৪ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। আর আকাশ সিংকে ৬ ও বিষ্ণুকে ম্যাচের ৫ ম্যাচের নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। এই ক্রিকেটাররা অনুর্ধ্ব-১৯ বা ‘এ’ দলের হয়ে সামনের ওয়ানডে অথবা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এই নিষেধাজ্ঞার শাস্তি ভোগ করবেন।

আইসিসি জানিয়েছে, ফাইনাল ম্যাচ শেষে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক এবং ধাক্কাধাক্কি করে এই ক্রিকেটাররা ক্রিকেটের স্পিরিট নষ্ট করেছেন। মাঠের খেলোয়াড় ও সাপের্টিং স্টাফদের মধ্যে আইসিসির বিধি বিধানের লেভেল তিন ভঙ্গ করেছেন। তাই এই শাস্তি।

ফাইনালের ম্যাচ রেফারি গ্রায়েম ল্যাবরয় জানান, বাংলাদেশের তিন ক্রিকেটার তৌহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন এবং রকিবুল হাসান এবং ভারতের দুজন খেলোয়াড় আকাশ সিং ও রবি বিষ্ণুইয়ের বিরুদ্ধে আইসিসি’র এই বিধি বিধানের ২.২১ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্নয়ের অপরাধের মাত্রা আরেকটু বেশি। তিনি এর সঙ্গে ২.৫ বিধির মাত্রাও অতিক্রম করেছেন।

ম্যাচ রেফারি ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদেরকে জবানবন্দি নেন। অভিযুক্ত পাঁচ ক্রিকেটারই তাদের দোষ স্বীকার করে নেন।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.