262298

হাতে লিখে কোরআনের অনুলিপি করলেন এই ব্যক্তি, জমা দেয়া হয়েছে জাতীয় জাদুঘরে

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন সাবেক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হাতে কোরআনের অনুলিপি তৈরি করেছেন। তার এই কাজটি এলাকায় বেশ আলোচনা তৈরি করেছে। তার নাম খাজা মুহম্মদ আবদুল হালিম। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের খাজাপুর গ্রামে তার বাড়ি। দেশ রুপান্তর

কোরআনের অনুলিপিটি তৈরি করতে তার প্রায় এক বছর সময় লেগেছে। ডায়েরিতে বলপেন দিয়ে নিয়মিত লিখে তিনি অনুলিপিটি তৈরি করেছেন।

মুহম্মদ আবদুল হালিম ছিলেন চট্টগ্রামের রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীতে। দীর্ঘ ৩৯ বছর চাকরি করে ১৯৯৭ সালে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে চাকরি থেকে তিনি অবসরে যান।

কোরআন শিক্ষা ও কোরআন শরিফ হাতে লেখার নানা গল্প জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৫৮ সালে জামিরতা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করি। ওই বছরই আমি রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিই। দীর্ঘ চাকরিজীবনে ঢাকাতেই বেশি সময় কাটিয়েছি। ১৯৯৫ সালে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর চিফ কমান্ডার এম এ রব আমাকে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করেন। কিছুটা মনঃক্ষুণ্ন হয়ে রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর চট্টগ্রাম ট্রেনিং সেন্টারে যোগ দিই। ট্রেনিং সেন্টারে তেমন কোনো কাজ না থাকায় সেখানকার মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. সাইফ উদ্দিনের কাছে আমি ও আমিনুজ্জামান নামের এক সহকর্মী বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াত শিখতে যাই। শিশুকালে আমার মা মোসা. হালিমা খাতুন ও ফুফা খাজা মজিবুর রহমানের কাছে প্রথম কোরআন শিখি। আমার ফুফা পাবনা শহরের রাধানগর জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ বছর আগে নিজ হাতে কোরআন শরিফের অনুলিপি তৈরির কাজ শেষ করি। তখন হয়তো কোনো কারণে লেখাগুলো কিছুটা ঝাপসা হয়ে যায়। আমার ছোট ভাই খাজা আবু সাইদ (মানিক) ও সৈয়দ আবদুর রশিদ (মতিন মিয়া) সেটি ফটোকপি করার পরামর্শ দেয়।

৩১৪ পৃষ্ঠার কোরআনের অনুলিপি তৈরি করতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছে। কালো কালির বলপেন লেগেছে পাঁচটি। কোরআনের পবিত্রতা রক্ষায় কালি ফুরিয়ে যাওয়া কলমগুলো যমুনায় নিক্ষেপ করা হয়েছে। প্রতিদিন নিয়ম করে মাগরিবের নামাজ শেষ করে লিখতে বসতাম। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য হাতে লেখা কোরআনের অনুলিপিটি জাতীয় জাদুঘরে জমা দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.