262826

‘সরকারি কাগজে জীবিত দেখানোর লিখিত আবেদন’

ডেস্ক রিপোর্ট : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার লক্ষণহাটি গ্রামের এই ব্যক্তি পাঁচ বছর ভোটাধিকার প্রয়োগসহ সব নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সবশেষ শুক্রবার এলাকার অন্যরা স্মার্টকার্ড হাতে পেলেও তিনি পাননি।

আবদুস সামাদ লক্ষণহাটি গ্রামের এলবাস আলী ও আয়েশা বেগম দম্পতির ছেলে। ১৯৭০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র পান। তার নাগরিক পরিচিতি নম্বর ছিল ৬৯২০৯০৬৬৯১০৯০।

২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, নির্বাচন কার্যালয়ের কাগজপত্রে তিনি মৃত ব্যক্তি হিসেবে লিপিবদ্ধ আছেন।

নির্বাচনের পরপরই আবদুস সামাদ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে কাগজ সংশোধন করে তাঁকে জীবিত হিসেবে দেখানোর আবেদন করেন। কিন্তু বছরের পর বছর গড়িয়ে গেলেও তা হয়নি। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে দিনের পর দিন ঘুরছেন।

গত বছরের অক্টোবরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আবারও তিনি নিজেকে সরকারি কাগজে জীবিত দেখানোর জন্য লিখিত আবেদন করেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে কে কী করেছেন তা বলতে পারব না। প্রায় তিন মাস আগে আবদুস সামাদের ‘মৃত’ সংশোধনের দরখাস্ত আমার হাতে এসেছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আবেদনপত্রটি ঢাকায় জাতীয় নির্বাচন অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছি। সূত্র: প্রথম আলো

পাঠকের মতামত

Comments are closed.