173401

রোজ দুপুর ১ টায় এখানে জেগে ওঠেন মহাদেব

এই ভারতবর্ষে কত কিছুই না ঘটছে। সারা বিশ্বের হয়তো কোথাও নেই কিন্তু ভারতে সেই ঘটনা ঘটছে। অনেকেই জানেন না কত ধরণের আশ্চর্যের ঘটনা ঘটে চলেছে এখানে। তেমনই আপনি হয়তো দেশের একেবারে শেষপ্রান্তে কন্যাকুমারীর কথা শুনেছেন। কিন্তু একেবারে মাঝ সমুদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা এই মন্দিরটার কথা কখনও শুনেছেন! বোধহয় না।

এটি একটি শিবের মন্দির। গুজরাত থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে আরব সাগরের মধ্যে এর অবস্থান। মন্দিরটি নিমকলঙ্গেশ্বর নামে বিখ্যাত। লোক মুখে এই মন্দিরের ইতিহাস ছড়িয়ে পড়ছে। বাড়ছে এর গুরুত্বও। শুধু তাই নয়, লোকমুখে কথিত যে এই মন্দিরে শিবের কাছে নাকি যা চাওয়া যায় তাই নাকি সত্যি হয়। ফলে ফলের আশায় ভিড় বাড়ছে বাবার দরবারে।

চারদিকে সমুদ্রের মাঝে একটুখানি জমির উপর তৈরি হয়েছে এই মন্দির। কিন্তু সমুদ্রের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার কারনে এই মন্দিরটিতে কেউ সহজে যেতে পারেন না।

ভগবান শিবের দর্শন পেতে হলে এখানে দুপুর ১ টা থেকে রাত ১০ টার মধ্যে আসতে হবে। কারন অন্য সময় এই মন্দিরের প্রবেশ পথ জলে ডুবে থাকে। এবং এই দুপুর ১ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত এর পথ অবাক করে এই পথে জল একদমই আসে না। তখনই দর্শনার্থীরা সেই মন্দিরে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করতে পারেন। ভগবান শিবের পুজো দিতে পারেন। জোয়ারের সময় মন্দিরটি জলের তলায় চলে যায়। শুধুমাত্র মন্দিরের ২০ ফুট লম্বা পাথরের তৈরি থামটির উপরের অংশ ও মন্দিরের ধ্বজাটি দেখা যায়। আবার দুপুর ১টার পর মন্দিরের উপর থেকে জল নামতে শুরু করে। দর্শনার্থীরা একে একে আসতে শুরু করেন।

অনেকে বলেন বাবা নাকি এখান থেকে কাউকে খালি হাতে ফেরান না। আবার কেউ বলেন এখানে বাবাকে দেখাই নাকি সৌভাগ্যের বিষয়।

সূত্র- কলকাতা ২৪x৭

পাঠকের মতামত

Comments are closed.