এরা মৃতদেহের সঙ্গে বাস করে!
পার্থ দের কথা মনে আছে আছে আপনাদের, যিনি তার দিদির কঙ্কালের সঙ্গে দিনযাপন করছিলন। এমন ঘটনা যে এই প্রথম ঘটল, এমন নয় কিন্তু! ইন্দোনেশিয়ার এক প্রদেশে কিন্তু এমন ঘটনা যুগের পর যুগ ধরে ঘটে আসেছ। সেখানে বছরে একবার মৃত আত্নীয়-স্বজনদের দেহ কবর থেকে তোলা হয়। তারপর কঙ্কাল পরিষ্কার করে তাদের পরানো হয় আধুনিক পোষাক। ভাবতে পারেন, এমন ঘটনাও ঘটে এই পৃথিবীতে!
শুনতে আজব লাগছে তো? এখানেই কিন্তু শেষ নয়। এই প্রবন্ধে এদের আরও সব আজব রকমের কীর্তি কলাপের কথা যখন পড়বেন, তখন আপনার চোখ কপালে উঠতে বাধ্য!
ম্যানেনে…
ইন্দোনেশিয়ার টরোজা প্রদেশে আয়োজিত এই আজব অনুষ্টানকে এই নামেই ডাকা হয়ে থাকে। এই প্রথা চলাকালীনই কঙ্কাল পরিষ্কার করে তাদের পরান হয় নতুন জামা-কাপড়।
এর আরও নাম আছে…
এই প্রথাকে অনেকে দ্বিতীয় শবযাত্রা বা সেকেন্ড ফিউনিরাল বলেও ডেকে থাকেন। নিচের ভিডিওটা দেখলেই বুঝতে পারবেন কীভাবে পালণ করা হয় এই ভয়ঙ্কর প্রথাটি।
কবর সেদিন শুন্য থাকে:
সেদিন এই প্রদেশের কোনও কবরেই আর কঙ্কালদের সন্ধান পাওয়া যায় না। কারণটা তো জানেন। সেদিন কঙ্কালদের সঙ্গে সারা দিন কাটান তাদের নিকট আত্মীয়রা।
এই প্রথা অনুসারে…
শুনলে আবাক হয়ে যাবেন। এই প্রদেশের কোনও বাসিন্দা যদি ভিন দেশে গিয়ে মারা যান। তাহলে সেখানে গিয়ে তার পরিবারের লোকেরা কবর থেকে কঙ্কাল তুলে তাকে হাঁটিয়ে হাঁটিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন।
কফিন সারাইয়ের কাজও হয়:
দীর্ঘ সময় কফিনগুলি মাটির তলায় থাকার কারণে সেগুলি নষ্ট হতে শুরু করে। বছরের এই একটা সময় কফিনগুলিকে ঠিক করা হয়ে থাকে। আর সে সময় মৃতেরা কি করে জানেন? নিজেদের নিজেদের বাড়ির উঠনে নতুন জামা কাপড় পরে বসে থাকে।
এই প্রথাটি একটা কারণেই পালন করেন এখানকার বাসিন্দারা। তারা মনে করেন ভালবাসার মানুষটা মরে গলেও দূরে চলে যাননি। তাই তো বছরে একবার মৃতদের সঙ্গে সময় কাটান তাদের বাড়ির লোকেরা। এই ভাবে এই পৃথিবী থেকে চলে যাওয়া মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন টরোজা প্রদেশের বাসিন্দারা।