ত্বকের বয়স কমিয়ে হয়ে উঠুন সুন্দর
সময় থাকতে থাকতে ব্যবস্থা নিন, না হলে কিন্তু আপনার ত্বক বুড়িয়ে যেতে সময় নেবে না। সাধারণত ৩০ বছরের পর থেকেই মুখে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। আর সে সময় ত্বককে সুন্দর রাখতে গিয়ে আপনাদের পকেট হালকা হয়। কি তাই তো? সেই কারণেই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে দিয়ে স্কিনকে প্রাণবন্ত করে তোলে।
১. আনারাসের জুস: এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় বিটামিন- সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা ত্বকের বয়েস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয় আনারসের জুসে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এবং অ্যালফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বককে প্রয়োজনিয় পুষ্টি প্রদান করে। ফলে স্কিন উজ্জ্বল হতে শুরু করে। কীভাবে ব্যবহার করবেন এটি? খুব সহজ! অল্প করে আনারস নিয়ে তার জুস বার করে নিন। তারপর সেই জুস চোখের তলায় এবং মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন সারা মুখটা।
২. রোজমেরি তেল: বলিরেখা কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। দিনে একবার এই তেলটি সারা মুখে ভাল করে মাসাজ করুন, বিশেষত চোখের তলায়। কয়েক দিন এমনটা করলেই দেখবেন ত্বক তার প্রয়োজনিয় পুষ্টি ফিরে পাবে। ফলে বলিরেখা গায়েব হতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, তেলটি মুখে মাসাজ করার পর কম করে ১৫ মিনিট রেখে দেবেন। তারপর মুখটা ধোবেন।
৩. শসা: ত্বকে জলের পরিমাণ কমে যেতে শুরু করলেই বলিরেকা দেখা দিতে শুরু করে। এক্ষেত্রে প্রথম কাজই হল ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে দেওয়া। আর এই কাজে শসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ কি জানেন? এই ফলটি প্রায় ৯৫ শতাংশ জলে পূর্ণ। তাই তো ত্বকের পরিচর্যা শসাকে ছাড়া হয় না বললেই চলে। প্রথমে পরিমাণ মতো শসা নিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই রস সারা মুখে লাগিয়ে ফেলুন। যদি দেখেন চোখের চারিদিকে বেশি করে রেখা দেখা দিয়েছে, তাহলে সেখানে বেশি করে রস লাগান। কয়েক মাস এমনটা করলেই দেখবেন আপনার ত্বক সুন্দর হতে শুরু করেছে।
৪. নারকেল তেল: নারকেল তেলও ত্বকের আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে দারুন কাজে দেয়। তাই যখনই দেখবেন ত্বক কুঁচকে যেতে শুরু করেছে, তখনই অল্প করে নারকেল তেল নিয়ে চোখের চারিদিকে এবং সারা মুখে ভাল করে মাসাজ করবেন। প্রতিদিন এমনটা করলে দেখবেন বয়স আপনার ত্বকে কোনও ছাপ ফেলতেই পারবে না। প্রসঙ্গত, কয়েক ড্রপ নারকেল তেলের সঙ্গে সম পরিমাণ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে মুখে লাগালে আরও ভাল কাজ দেয়।
৫. আঙুর বীজের তেল: ত্বকের এপিডেরমিস লেয়ারের আদ্রতা বজায় রেখে সার্বিকবাবে ত্বকের বয়স কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। আসলে আঙুর ফলের বীজ থেকে বানানো তেল ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে দেয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলের জানা যে স্কিন যখন শুষ্ক হয়ে যায়, তখনই বলি রেখা তৈরি হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে। তাই ত্বককে ভাল রাখতে তার আদ্রতা বজায় রাখার চেষ্টা করুন। এমনটা করলেই দেখবেন আপনার সৌন্দর্য বাড়তে শুরু করে দিয়েছে।
৬. গরম দুধ এবং ব্রাউন সুগার: পরিমাণ মতো গরম দুধে ব্রাউন সুগার মিলিয়ে ভাল করে মেশান। যখন দেখবেন দুধটা ঠান্ডা হয়ে গেছে তখন সেটি মুখে লাগান। এই মিশ্রনটি ত্বকে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে, ফলে স্কিন উজ্জ্বল হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, দিনে দুবার এই দুধ মুখে লাগালে ত্বককে বলি রেখা কমে, সেই সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
৭. কমলা লেবুর রস: বলিরেখা কমিয়ে ত্বককে সুন্দর করতে কমলা লেবুর রসের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন- সি, যা ত্বকের পিগমেন্টটেশন কমায়, সেই সঙ্গে ডার্ক সারকেলও দূর করে। কীভাবে মুখে লাগাবেন এটি? খুব সহজ! পরিমাণ মতো কমলা লেবুর জুস নিয়ে মুখে ভাল করে লাগিয়ে মাসাজ করুন। সারা রাত রেখে পরদিন সকালে ভাল করে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। এমনটা কয়েক দিন করলেই হাতে নাতে ফল পাবেন।