178044

জন্ম দাগ মুছবে উন্নত লেজার টেকনিক

জামাল হোসেন: নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে, সুন্দর ও পরিপাটি করে রাখতে কত প্রসাধনীই তো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এসবের পরও অনেকেই নিজের ত্বক কিংবা সৌন্দর্য নিয়ে সন্তুষ্ট থাকেন না। তখন অনেকে নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য নেন লেজার ট্রিটমেন্টের। এই লেজার ট্রিটমেন্টের পথ চলা শুরু হয়েছে আজ থেকে ৪০ বছর আগে। এবার ‌সনোইলুমিনেশন নামের যে নতুন লেজার থেরাপিটি আসতে যাচ্ছে, তা দিয়ে মোছা যাবে জন্মদাগও। নতুন এ পদ্ধতিটি আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরির গবেষকরা।

নতুন এ পদ্ধতিতে সরাসরি টিস্যুর ওপর লেজার রশ্মি ছুড়ে মারা হবে। যাতে করে ত্বকের উপরিভাগ থাকবে বিপদমুক্ত। প্রধান গবেষক পল হোয়াইটসাইড জানালেন, সনোইলুমিনেশন পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয় আল্ট্রাসনিক পালসেশন। আপাতত পরীক্ষাগারে এর বিভিন্ন মাত্রায় প্রয়োগে সফলতা পাওয়া গেছে। বাজারে আসার আগে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার ধাপ পার হতে হবে।

লেজার হলো একধরনের বিশেষ আলোকরশ্মি যা ব্যবহার করে গবেষকরা একটি নির্দিষ্ট ওয়েব লেন্থ বা প্রবাহ দৈর্ঘ্যকে পৃথক করে তার ক্ষমতা অনেক গুণ বাড়িয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটান। যেসব ক্ষেত্রে লেজারের সাহায্য নেওয়া যায় তা হলো- জন্ম দাগ, মুখের অবাঞ্ছিত লোম, গর্ত, ব্রণ, বিভিন্ন চর্মরোগ, মুখের বলিরেখা, তিল- এসব দূর করা। বেশকিছু ধাপে লেজারের চিকিৎসা করা যায়। সব ধাপ ধৈর্য ধরে মেনে চলতে পারলে লেজার থেরাপির মাধ্যমে সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব।

সাইড এফেক্ট:
লেজার ট্রিটমেন্ট এর কিছু সাইড ইফেক্ট হতে পারে যেমন- লেজার করার পর ত্বকে সানবার্নের মতো পোড়া ভাব দেখা যেতে পারে। দেখে মনে হতে পারে পুড়ে গেছে। কিন্তু এটা অস্থায়ী। কিছুদিন পর সেরে যায়।কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে আক্রান্ত স্থানে ধরা, চুলকানো এগুলো যেন করা না হয়। লেজার ট্রিটমেন্টের পর একটু ব্যথা হতে পারে, তবে যেহেতু এই চিকিৎসায় কোনো কাটাছেঁড়ার ব্যপার নেই, তাই ব্যথা দ্রুত কমে যায়। চিকিৎসার প্রভাবে ত্বকের রঙ কিছুতা পরিবর্তন হতে পারে। ত্বকের নিচে লাল লাল ফোটা হতে পারে। চোখে লেজার ট্রিটমেন্ট করার পর কয়েক দিন পর্যন্ত চোখে নাও দেখতে পারে। চোখে ঘোলা দেখা এবং রাতে কম দেখতে পাওয়া যেতে পারে। সাধারণত এক সপ্তাহেই তা সেরে যায়। আর চোখের সমস্যা রোগীর সাথে সাথে যে ডাক্তার চিকিৎসা করেন তারে ও হতে পারে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.