179177

তারুণ্য ধরে রাখতে কি করবেন?

তারুণ্য ধরে রাখতে চান না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তবে, চাইলে কী হবে? সময় চলে তার আপন গতিতে।
সময়ের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নেমে নিজেকে তরুণ দেখানোর জন্য কত ধরনের পাগলামিই না মানুষ করেন। কেউ খাদ্য তালিকায় যোগ করেন উল্টাপাল্টা খাবার। কেউবা আবার চিকিৎসকের ছুরির নিচে অবলীলায় নিজেকে সঁপে দেন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েই যদি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় তাহলে এতো কিছু করার দরকার কী?

কাজেই তারুণ্য ধরে রাখার জন্য সব কসরত বাদ দিয়ে আপনার খাদ্য তালিকায় নিচের খাবারগুলো যোগ করুন। একইসঙ্গে জীবনেরও যোগ করুন কিছু বাড়তি সময়!

মাছ
মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাট আর আমিষের অন্যতম প্রধান উৎস। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি করে মাছ খায় তারা দীর্ঘ জীবন পান। এছাড়া তাদের হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি কম থাকে।

জলপাই তেল
জলপাই তেলে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল যা বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। জলপাই তেল হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া জলপাই তেলে থাকা ভিটামিন এ ও ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের কুঁচকে যাওয়া রোধ করে।

দই
দইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। এছাড়া দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া হজমের জন্য ভালো। ব্যাকটেরিয়া বার্ধক্যজনিত রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

দইয়ের গুণের কথা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। ত্বকে দই মাখালে ব্রণের উপদ্রুব থেকে রেহাই পাওয়া যায়। নিয়মিত দই মাখলে ত্বক কোমল থাকে, অকালে বুড়িয়ে যাওয়া ভাব, রোদে পোড়া ভাব ও শুষ্ক ভাব দূর হয়।

এছাড়া দইয়ে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা ত্বকের মরা চামড়া দূর করে।

ডার্ক চকলেট
কোকো দিয়ে তৈরি ডার্ক চকলেটে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ডার্ক চকলেট আছে ক্যাটেচিন, এটেচিন ও প্রোসাইনিডিনের মতো পলিফেনল। এসব শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তপ্রবাহ সচল রাখে।

বাদাম
বাদামে আছে অসম্পৃক্ত চর্বি, প্রচুর ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া, বাদামে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ওমেগা-৩ মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও বাড়াতে সাহায্য করে।

টমেটো
বয়সকে আটকানো একটি সেরা অস্ত্র হলো টমেটো। টমেটোতে আছে লাইকোপেন যা হার্ট অ্যার্টাকের ঝুঁকি কমায়। লাইকোপেন কলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ও ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। লাইকোপেন প্রাকৃতিক সানব্লক হিসেবে কাজ করে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকের শুষ্ক ও কুঁচকানো ভাব দূর করে ত্বককে রাখে সতেজ।

ব্রোকোলি
ব্রোকোলিও খুব বার্ধক্য প্রতিরোধে খুব কার্যকর খাবার। ব্রোকোলিতে আছে ভিটামিন সি ও ফলিক অ্যাসিড যা ভিটামিন ডি এ কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও ব্রুকলিতে আছে সালফোরাফেন যা শরীরের ভেঙে পড়া ও তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।

তাহলে আর দেরি না করে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন এসব খাবার। রুখে দিন বার্ধক্যের আগমনীবার্তা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.