182137

৪৭০ গ্রাম ওজনের শিশুর হৃদযন্ত্রে জটিল অস্ত্রপ্রচার

মাত্র সাড়ে পাঁচ মাস মাতৃগর্ভে থাকার পর পৃথিবীর আলো দেখেছে সে। জন্মের সময় ওজন ছিল ৪৭০ গ্রাম। জন্মের মাত্র ১৫ দিন পর, হৃদযন্ত্রের জটিল অস্ত্রোপচার হল তার। তৈরি হল ক্ষুদ্রতম শরীরে অস্ত্রোপচারের নজির।

বিয়ের বহু বছর পর আইভিএফ পদ্ধতিতে গর্ভবতী হয়েছিলেন রাজস্থানের এক মহিলা। গর্ভধারণের মাত্র সাড়ে পাঁচ মাস পর একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু জন্মের পর থেকেই তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল শিশুটি। ডাক্তারি পরীক্ষায় দেখা যায়, শিশুরটি হৃদযন্ত্রের অওরোটা ও পালমোনারি আর্টারি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সাধারণত শিশু যখন মাতৃগর্ভে থাকে, তখন ওই দুটি আর্টারি পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কিন্তু জন্মের পর আপনা থেকেই আর্টারি দুটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এই শিশুটির ক্ষেত্রে তা ঘটেনি। প্রথমে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় ঝুঁকি সত্ত্বেও অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের নিওনেটাল কেয়ার ইউনিটে হয় অস্ত্রোপচার। সব বাঁধা পেরিয়ে সফল হয় অস্ত্রোপচার। এখন ভাল আছে শিশুটি। ৪৭০ গ্রাম থেকে বেড়ে এখন তার ওজন ৬০০ গ্রাম। ছেলেকে ফিরে আসার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন রাজস্থানের ওই দম্পতি। এই ঘটনাকে মিরাকল ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছেন না তাঁরা।

তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৫৫০ গ্রাম ওজনের একম শিশুর হৃদযন্ত্রে সফল অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসক।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.