182956

এ যেন সেই ‘ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল’, ব্যাপারটা হল ছিল পাথর, হঠাৎ জানা গেল হিরে

বছর তিরিশ আগে সেলের বাজার থেকে সাধারণ দেখতে, জৌলুষহীন, বড় পাথর বসানো আংটিটা মাত্র দশ পাউন্ড দামে কেনা হয়েছিল।তিরিশ বছর পরে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন বড় পাথরটি আসলে খাঁটি হিরে এবং নিলামে উঠলে সে আংটির দর উঠতে পারে কমপক্ষে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার পাউন্ড। ভারতীয় মূল্যে যা ২৯ কোটি ৪০ লক্ষ!
২৬ ক্যারেটের ওই হিরের আংটি রোজ যাঁর আঙুলে শোভা পেত, এই সব তথ্য জানার পরে তাঁর চোখ ছানাবড়া। নিজের পরিচয় জানাতে আগ্রহী নন সেই মহিলা। হিরেটি আদতে ১৯ শতকের। পশ্চিম লন্ডনের আইলওয়ার্থে পশ্চিম মিডলসেক্স থেকে কেনার পরে কয়েক দশক টানা রোজ আঙুলে পরেছেন মহিলা। জুলাইয়ে সোদবির নিলামে উঠবে মহার্ঘ্য আংটি।

লন্ডনের নিলাম-ঘরের অলঙ্কার বিভাগের প্রধান জেসিকা ওয়াইনড্যাম বলেছেন, ‘‘দারুণ দেখতে আংটি। কস্টিউম জুয়েলারি ভেবে কেনা।’’ ওয়াইনড্যাম জানাচ্ছেন, সেটির মধ্যে তেমন কোনও ঔজ্জ্বল্যও ছিল না। তাঁর মতে, পুরনো হিরের ক্ষেত্রে সেটাই স্বাভাবিক। কারণ, সে সময় একটু ভোঁতা এবং গভীরে ছেদ করে হিরে কাটা হতো। ফলে তাতে আলোর প্রতিফলন আজকালকার হিরের মতো অতটাও হতো না। তখনকার পাথর যাঁরা কাটতেন, তাঁরা ওজন বজায় রাখার দিকে মন দিতেন। এখনকার মতো ঔজ্জ্বল্যে নয়। সেটা আসল রত্ন বলে মনে না-ই হতে পারে।

হঠাৎ কী ভাবে তা হলে মালকিন জানতে পারলেন তাঁর আংটিটি অসাধারণ? সোদবির অলঙ্কার প্রধানের বক্তব্য, হয়তো ও ভাবে পরেই যেতেন। তবে কোনও ভাবে সেটা এক স্যাকরার চোখে পড়ে যায়। তিনিই ওই মালকিনকে বলেন, সেটি মূল্যবান হতে পারে। সেই করতে করতেই আংটির সোদবি যাত্রা এবং পরিচয় প্রকাশ।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.