188905

ভারতের জাতীয় খাবারের মর্যাদা পেতে চলেছে খিচুড়ি

পিজ্জা, বার্গারের যুগেও ভারতীয়দের কাছে খিচুড়ির জুড়ি মেলা ভার। পুজো-পার্বন-অনুষ্ঠান হোক কিংবা শীতকাল বা বর্ষাকাল, সুস্বাদু খিচুড়ি ভারতীয়দের অন্যতম প্রিয় খাদ্য। এবার সেই খিচুড়িই পেতে চলেছে জাতীয় খাবারের স্বীকৃতি।
একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ভারতের খাদ্যমন্ত্রী হরসিমরত কৌর বাদল খিচুড়িকে জাতীয় খাদ্যের মর্যাদা দিতে কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। যে আবেদনে মিলেছে ইতিবাচক সাড়া। আগামী ৩ অথবা ৪ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড ফুড ইন্ডিয়ায় এ কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে খবর। খাদ্যমন্ত্রকের উদ্যোগে আয়োজিত সেই উৎসবে হাজির থাকবেন দেশের নামী-দামী শেফরা। এই ঘোষণা উপলক্ষে তাঁদের হাতেই তৈরি হবে ৮০০ কেজি খিচুড়ি। ২০০টি নামী কোম্পানির সিইওদের উপস্থিত থাকার কথা সেখানে।
খাদ্যমন্ত্রকের দাবি, বহু প্রাচীন যুগ থেকে ভারতের সব জাতি-ধর্ম-বর্ণের মানুষই খিচুড়ি খেতে অভ্যস্ত। তাই এটিকে জাতীয় খাদ্য হিসেবে বেছে নিলে কোনও ধর্মের প্রতিই পক্ষপাতিত্ব করা হবে না। ইতিহাসবিদরা আবার বলছেন, শুধু এ দেশের বাসিন্দারাই নয়, পরাধীন ভারতবর্ষে ব্রিটিশদেরও এ খাবার ছিল অত্যন্ত প্রিয়। নিজেদের মতো করে ব্রিটিশরা খিচুড়ির নাম দিয়েছিল কেড়গিরি। তাছাড়া নাম এক হলেও খিচুড়ির প্রকারভেদও রয়েছে। এক এক রাজ্যে খিচুড়ির উপকরণ ও স্বাদ এমনকী নামেরও পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। উত্তর ভারতে যেমন এটি পরিচিত খিচুড়ি বা খিচড়ি নামে, তেমন দক্ষিণে এই খাবারকে ডাকা হয় হুগ্গি, পোন্ডাল এবং পুলাগাম নামে। নবরাত্রিতে যেমন সাবুর খিচুড়ি বানানো হয়, তেমন বাঙালি আবার খিচুড়ির সঙ্গে পাতে মাছ ভাজা বা ডিম ভাজাই ভালবাসেন। তাই শেষমেশ খিচুড়ি জাতীয় খাবারের মর্যাদা পেলে দেশবাসী যে খুশি হবেন, তেমনই আশা খাদ্যমন্ত্রকের।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.