189948

সান্ধ্য নিমন্ত্রণে

 

ডেস্ক রিপোর্ট:  শীত মানে এখন আর ঘরে থাকার সময় নয়, বরং উৎসবের মেলা শুরু হয় দেশজুড়ে। হইচই আর আনন্দ আড্ডা কিংবা দাওয়াতে যাওয়ার জন্য তাই চাই প্রস্তুতি। কারণ এক সঙ্গে অনেক দিন পর যেহেতু দেখা হচ্ছে সবার সঙ্গে, তাই নিজেকে একটু সাজিয়ে নিতে ইচ্ছা তো হবেই। কেমন পোশাক পরবেন, কীভাবে সাজবেন, কেমন হবে জুয়েলারি, তাই নিয়ে এবার শৈলীর আয়োজন।

এই সময়ের দাওয়াত অথবা পার্টিতে যাওয়ার প্রস্তুতিতে প্রথমেই কয়েকটি বিষয়ে লক্ষ্য করতে হবে। কখন, কোথায় এবং কে জানিয়েছে আমন্ত্রণ। এই তিনটি বিষয় খেয়াল রেখে প্রস্তুতি নিলে অস্বস্তি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে সামান্যই। আমন্ত্রণ যদি হয় একটু অফিসিয়াল, বিয়ে কিংবা জন্মদিনের, তাহলে পরে নিতে পারেন শাড়ি অথবা গাউন। শাড়ির ফেব্রিকে এ সময় আরাম খুঁজে পাবেন সিল্ক্ক, কাতান ও ভারী জর্জেটে। শাড়ির রঙ বেছে নিন উজ্জ্বল, যদি আমন্ত্রণের সময় হয় সন্ধ্যায়। মেরুন, রানী গোলাপি, নীল, নেভি ব্লু, বেগুনি, ম্যাজেন্টা, গাঢ় সবুজ থাকতে পারে পছন্দের তালিকায়। এ ছাড়াও চিরায়ত সাদা অথবা কালোর আবেদন তো থাকবেই। তাছাড়া পরতে পারেন হালের নুড, অফ হোয়াইট শাড়ি। সন্ধ্যার আমন্ত্রণে চওড়া পাড়ের শাড়ি মানিয়ে যাবে বেশ। সঙ্গে ব্লাউজ পরতে পারেন একটু উঁচু কলার দেওয়া, ব্লাউজের হাতা হতে পারে কনুই অবধি। দিনের বেলায় আমন্ত্রণ হলে একটু হালকা রঙের শাড়ি মানিয়ে যাবে বেশ। বেছে নিতে পারেন প্যাস্টেল কালার থেকে যে কোনো একটি। পরতে পারেন রঙিন প্রিন্টের ব্লাউজের সঙ্গে এক রঙা শাড়ি।

সন্ধ্যার আমন্ত্রণে এখন অভিজাত এক পোশাক গাউন। এই পোশাকে খুব সহজেই আপনি খুঁজে পাবেন আরাম এবং ফ্যাশনের মিশেল। ফেব্রিকে বেছে নিতে পারেন রয়েল সিল্ক্ক অথবা সামু সিল্ক্ক। জর্জেটেও খুঁজে পাবেন আরাম। গাউন হতে পারে প্রিন্টের কাপড়ের তৈরি। প্রিন্টে ফ্লোরাল প্রিন্ট মানিয়ে যাবে বেশ। আর যদি হয় এক রঙের, তাহলে অলঙ্করণ হতে পারে সিকোয়েন্স অথবা এমব্রয়ডারির মাধ্যমে। এ ধরনের অলঙ্করণ উৎসবমুখর আমন্ত্রণের জন্য উপযুক্ত। গাউনের হাতা হতে পারে কনুই পর্যন্ত অথবা পরতে পারেন হাত কাটা গাউন, সঙ্গে নিয়ে নিতে পারেন কটি। এতে শীত যেমন কাবু করবে না আপনাকে, তেমনি একই সঙ্গে আরও বেশি ফ্যাশনেবল লাগবে। গাউনের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন এর দৈর্ঘ্য যেন আপনার জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়। মেঝে পর্যন্ত যদি চান দৈর্ঘ্য তাহলে অবশ্যই আপনাকে সঙ্গে বেছে নিতে হবে মানানসই জুতা। পরতে পারেন মাঝারি থেকে হাই হিল ধরনের জুতা।

শাড়ি এবং গাউনের সঙ্গে শাল রাখতে পারেন সঙ্গে। তাপমাত্রা খুব কম না হলে শাল খুব একটা ভারী না হলেই ভালো লাগবে দেখতে। পশমিনা শাল রাখতে পারেন তালিকায়। রঙ মিলিয়ে অথবা একদম বিপরীত রঙ শাল মানিয়ে যাবে বেশ ভালোই।

আমন্ত্রণের আয়োজন হতে পারে খোলা আকাশের নিচে। দল বেঁধে করা যেতে পারে বার-বি-কিউ। এমন যদি হয় আয়োজন তাহলে এবারে বের করতে পারেন আপনার পশ্চিমা দেশের ফ্যাশনের পোশাকগুলো। পরে নিতে পারেন পঞ্চ স্টাইলে তৈরি সোয়েটার, সঙ্গে থাকতে পারে জিন্স। পঞ্চ যদি হয় বেশ রঙ-বেরঙ তাহলে প্যান্ট বেছে নিন শুধু একটি কালারের কাপড়ের। জিন্স মানিয়ে যাবে বেশ। পরতে পারেন সামনের দিকে খোলা একটু লম্বা ধরনের সোয়েটার।

শীতের সময়ের আমন্ত্রণে গহনা নিয়ে করতে পারেন নিরীক্ষা। গলায় পরতে পারেন একটু ভারী ধরনের গহনা। হাই নেক পোশাকের ওপরেও পরতে পারেন গহনা। বেশ ভিন্নতা আসবে এতে। কানে পরে নিতে পারেন ঝুমকা অথবা একটু ঝুলে থাকা ধরনের বড় দুল। যদি কানে বড় দুল পরেন তাহলে গলায় ভারী কিছু না পরে সরু একটি চেইন পরে নেন, মানিয়ে যাবে বেশ। বড় দুলের সঙ্গে খালি গলায়ও খারাপ লাগবে না।

শীতের পোশাক সঙ্গে নিতে না চাইলে পরে নিতে পারেন ইনার সোয়েটার, যা আপনাকে শীতের ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় আরামদায়ক স্বস্তি দেবে, আবার আপনার পোশাকের সৌন্দর্যে কোনো ব্যতিক্রম নিয়েও আসবে না। এ ধরনের ইনার সোয়েটারের ক্ষেত্রে পোশাকের সঙ্গে রঙ মিলিয়ে পরতে হবে। সুত্র সমকাল

পাঠকের মতামত

Comments are closed.