190699

শেভিং সমস্যার দরকারি সমাধান

ডেস্ক রিপোর্ট :ছেলেদের ত্বকের যত্ন নিয়ে তেমন মাথাব্যথা না থাকলেও এক বা দু’দিন পরপর তাদের শেভ করতেই হয়। আর শুধু তো গালে রেজার চালালেই চলবে না, সঠিকভাবে শেভ করা না হলে নানান সমস্যায় ভুগতে হয়, তাই এই নিত্যদিনের কাজটি করার সঠিক পদ্ধতি ও সমস্যার সমাধান জানা থাকা চাই।

শেভ করার সময় হালকা কেটে যাওয়া, ফুসকুড়ি ওঠা, রেজার বাম্পস ইত্যাদি সমস্যা হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাই এগুলো সারিয়ে তোলার উপায় জানা থাকা বেশ জরুরি।

জ্বলুনি
শেভ করার সময় রেজারের ব্লেড ত্বকে চালানোর ফলে জ্বলুনি ও ত্বকে লালচে ছোপ হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। মূলত রেজারের ব্লেড যদি ভোতা বা কম ধারালো হয় তাহলে এমন সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া শুষ্ক ত্বকে শেভ করা হলে বা বেশি তাড়াতাড়ি শেভ করতে গেলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। ত্বকের জ্বলুনি এড়াতে শেভ করার আগে ত্বক ভালোভাবে ভিজিয়ে নিন। শেভিং অয়েল বা জেল বেইজ শেভিং ক্রিম ব্যবহার করুন। শেভ শেষে ত্বক শীতল করতে সাহায্য করবে এমন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। আর রেজারের ব্লেড কিছুদিন ব্যবহারের পরই বদলে ফেলুন।

কাটাছেঁড়া
ভোতা ব্লেড দিয়ে বারবার ঘষাঘষি করে শেভ করার কারণে ত্বকে চামড়া উঠে যাওয়া বা কেটে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। অন্যদিকে নতুন ও ধারালো ব্লেড দিয়ে শেভ করার সময় বেশি জোর দিলেও কাটাছেঁড়া হতে পারে। তাই এমন দুর্ঘটনা এড়াতে ধারালো ব্লেড হালকাভাবে ব্যবহার করুন। ত্বকে যেন বেশি চাপ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। আর ত্বকের একই অংশে যত কমবার সম্ভব রেজার চালান।

ইনগ্রোন হেয়ার
এটি বেশ কষ্টদায়ক সমস্যা। আর এই সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে সঠিকভাবে শেভ করা না হলে। মূলত শেভ করার সময় যদি লোমের কোনো অংশ গোড়া থেকে কাটা না হয় তাহলে তা ত্বকের ফলিকলের মধ্যেই বড় হতে থাকে। আর এতে করে অনেকটা বড় আকারের ব্ল্যাকহেডসের সৃষ্টি হয়। অনেকক্ষেত্রে এ থেকে ব্যথাও হতে পারে। অনেকেই টুইজারের সাহায্যে ইনগ্রোন হেয়ার তুলে ফেলতে চান, যা মোটেও ঠিক নয়। এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শেভিংয়ের আগে স্ক্রাবার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বকের উপরের মৃত কোষের পরত উঠে যাবে এবং শেভিংয়ের সময় গোড়া থেকে লোম কাটা যাবে।

রেজার বাম্পস
শেভ করার পর অনেকের ক্ষেত্রেই ছোট ফুসকুড়ির মতো ব্রণ হয়ে থাকে। মূলত ত্বকের উপরিভাগ থেকে লোম কাটা হলেও তা শেভিংয়ের পরপরই ত্বকের নিচে বাড়তে থাকে এবং অনেক সময় ইনগ্রোন হেয়ারের মতো ব্রণ হতে পারে। এই সমস্যা অনেক সময় বেড়ে যেতে পারে এবং ব্রণ ও ইনফেকশনের সমস্যাও হতে পারে। এক্ষেত্রে শেভিংয়ের অনুষঙ্গ হওয়া চাই অ্যালকোহলমুক্ত। কারণ অ্যালকোহল ত্বকের জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর। শেভ করার আগে ত্বক এক্সফলিয়েট করে নেওয়া উচিত এবং পরে সিলিসাইলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ সল্যুশন ব্যবহার করা যেতে পারে।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
ঘরে বা সেলুনে যেখানেই শেভ করা হোক না কেন, রেজারের ব্লেড, তোয়ালে এবং হাত যদি পরিষ্কার না থাকে তাহলে সেই থেকে নানান সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। তোয়ালে এবং অপরিষ্কার হাতের ব্যাক্টেরিয়া, ভালোভাবে পরিষ্কার না করেই রেজারের ব্লেড ব্যবহার ইত্যাদি কারণে ইনগ্রোন হেয়ার, ব্রণ ইত্যাদি সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই প্রতিবার শেভ করার আগে অবশ্যই গরম পানি দিয়ে রেজার ধুয়ে নেওয়া উচিত। তোয়ালে এবং হাতও পরিষ্কার রাখা জরুরি। কখনওই অন্যের রেজার বা ব্লেড ব্যবহার করা উচিত নয়। শেভ শেষে ত্বকে যেন কোনো ব্যাক্টেরিয়া প্রবেশ করতে না পারে। সেজন্য আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সমস্যা যদি বেশি হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সূত্র: অনন্যা।সূত্র :দৈনিক ইত্তেফাক

পাঠকের মতামত

Comments are closed.