191428

পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে!

ডেস্ক রিপোর্ট  :  এ যেন ‘পড়বি তো পড় মালির ঘাড়ে’! মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে বিক্রি করছিলেন ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম। দীর্ঘ দিন থেকে এমন অপকর্ম ভোক্তাদের পকেট কাটছিলেন। অবশেষে ভ্রাম্যমাণ আদলতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাতেনাতে ধরা খেলেন তিনি। এরপর সাজা থেকে বাঁচতে গুণলেন নগদ জরিমানার টাকাও।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর সাহেব বাজার মাংসপট্টিতে কৌশলগতভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।

অভিযানে ক্রেতা সেজে গরুর মাস কিনতে যান রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শরীফ আসিফ রহমান। এ সময় গরুর মাংস বলে তার কাছে সাড়ে ৪শ’ টাকা দরে মহিষের মাংস বিক্রি করলে হাতেনাতে ধরেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এনডিসি শরীফ আসিফ রহমান।

পরে ভোক্তা অধিকার আইনে তাকে নগদ দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে সাহেব বাজার মাংসপট্টি এলাকার অন্য অসাধু ব্যবসায়ীরাও তড়িঘড়ি করে মহিষের মাংস সরিয়ে ফেলেন। ফলে আর কারো দোকানে মহিষের মাংস পায়নি জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এনডিসি শরীফ আসিফ রহমান বাংলানিউজকে জানান, পুলিশের সহায়তায় জনস্বার্থে ভোক্তা অধিকার আইনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সাহেব বাজার এলাকার নবরূপ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের মিষ্টির প্যাকেটের ওজন ১শ’ গ্রাম। অর্থাৎ ভোক্তাকে কেজিতে ১শ’ গ্রাম করে মিষ্টি কম দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ সময় ভোক্তা অধিকার আইনে নবরূপ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মৌচাক মিষ্টি শপে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, ৫শ’ গ্রামের প্যাকেটে ৫০ গ্রাম করে ওজন কম দিচ্ছে। এজন্য তাদের দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দেওয়া হয়। তারাও মুচলেকা দেন।

জনস্বার্থে মহানগরী বিভিন্ন এলাকায় রাজশাহী জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এনডিসি শরীফ আসিফ রহমান।

উৎসঃ banglanews24

পাঠকের মতামত

Comments are closed.