191971

এই স্বীকৃতি তরুণদের উৎসাহ জোগাবে

 

ডেস্ক রিপোর্ট: দশমবারের মতো দেওয়া হলো ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার’। সাহিত্যে অবদানের এ স্বীকৃতি ক্রমশ কাঙ্ক্ষিত হয়ে উঠছে তরুণদের কাছে। পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে এসে তেমনটিই বললেন এবারের পুরস্কৃত তরুণ সাহিত্যিকেরা। জানালেন, এ পুরস্কার তাঁদের সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহী করবে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ছয় তরুণের হাতে তুলে দেওয়া হলো ‘কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার-২০১৭ ’। এ বছর পাঁচ বিভাগে পুরস্কারটি প্রদান করা হলো। কবিতায় যৌথভাবে জুমজুয়াড়ি গ্রন্থের জন্য মিজানুর রহমান এবং নিশিন্দা পাতার ঘ্রাণ গ্রন্থের জন্য হোসনে আরা জাহান, কথাসাহিত্যে ‘এই বেশ আতঙ্কে আছি’ গ্রন্থের জন্য তাপস রায়, প্রবন্ধ, গবেষণা ও নাটকে ‘নৃত্যকী’ গ্রন্থের জন্য আলতাফ শাহনেওয়াজ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাহিত্যে ‘মুক্তিযুদ্ধের অজানা ভাষ্য’ গ্রন্থের জন্য মামুন সিদ্দিকী এবং শিশু-কিশোর সাহিত্য বিভাগে ‘হরিপদ ও গেলিয়েন’ গ্রন্থের জন্য পুরস্কার লাভ করেছেন রাজীব হাসান। তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অতিথিরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। আনিসুজ্জামান বলেন, ‘এ পুরস্কার পাওয়া অনেক তরুণ ইতিমধ্যে সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। আজ যাঁরা পুরস্কার পেলেন, প্রত্যাশা করি ভবিষ্যতে তাঁরা আরও গৌরবের আসন লাভ করবেন। পাঠক লেখকের কাছে দুটি জিনিস প্রত্যাশা করে-সৌন্দর্যপ্রীতি ও সত্য। এ দুইয়ের মেলবন্ধন করাই সাহিত্যের প্রধান কাজ। এ থেকে বিচ্যুত হলে কেউ আর সাহিত্যিক থাকে না। তরুণ এ লেখকদের কাছে প্রত্যাশা করব, তাঁরা যেন নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নিজের সৃষ্টির প্রতি অনুগামী থাকেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের সাহিত্যিকেরা একটি সমৃদ্ধ জনপদের উত্তরসূরি। চার হাজার বছরের পুরোনো ঐতিহ্য, মানবিকতা, দুঃখ, বেদনার প্রতিনিধিত্ব করেন। জাতি যাতে হোঁচট না খায় সে জন্য সংস্কৃতিচর্চার ঘাটতি দূর করবেন তাঁরা।’

পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের নিয়ে শংসা বচন পাঠ করেন অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ, মাহবুব সাদিক ও ইমদাদুল হক মিলন। স্বাগত বক্তব্যে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং কালি ও কলম-এর প্রকাশক আবুল খায়ের বলেন, ‘প্রকাশক হিসেবে আমি গর্বিত যে ১৫ বছর ধরে পত্রিকাটি প্রকাশ করতে পারছি। যাদের নিয়ে কাজ করে পত্রিকাটি প্রকাশ করছি তাদের এবং পাঠকদের ধন্যবাদ।’

নিজেদের পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতি প্রকাশ করেন তরুণ লেখকেরা। বক্তব্য দেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সম্মানিত অতিথি ও রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ মার্টিন কেম্পশেন। উপস্থিত ছিলেন কালি ও কলম সম্পাদক আবুল হাসনাত। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিদের রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে শোনান লাইসা আহমদ লিসা।

বাংলাদেশের নবীন কবি-লেখকদের উজ্জীবিত করতে এইচএসবিসির সহায়তায় কালি ও কলম ২০০৮ সাল থেকে তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার প্রবর্তন করে। ২০১৪ সাল থেকে কালি ও কলম এককভাবে এ পুরস্কার দিতে শুরু করে।  সুত্র প্রথম আলো

পাঠকের মতামত

Comments are closed.