195419

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর জীবনাবসান

ঢাকাটাইমস:  ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ৯৩ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয়াদিল্লির একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউ অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস(এইমস)-এ মারা যান। তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এইমস-এ গিয়েছিলেন তাক দেখতে।

এইমস সূত্রে খবর, চিকিৎসকদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। কিছু সময়ের মধ্যেই তাকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। ইতিমধ্যে ভারতের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদরা বাজপেয়ীকে দেখে হাসপাতালে গিয়েছেন।

বাজপেয়ীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতির খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সারা দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা দিল্লিতে যান। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দিল্লি যাওয়ার কথা।

আজ সকালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে যান উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, লালকৃষ্ণ আদভানি, শাহনওয়াজ হুসেন প্রমুখ। এইমসের সামনে ভিড় বাড়ছে সাধারণ মানুষের। কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।

বুধবার রাতে চিকিৎসক আরতি ভিজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘গত ৯ সপ্তাহ ধরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।’

বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়েই বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাজপেয়ীর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি। হাসপাতালে প্রায় ৫০ মিনিট মতো সময় কাটান মোদি।

এইমস-এর ডিরেক্টর চিকিত্সক রণদীপ গুলেরিয়ার তত্ত্বাবধানে বাজপেয়ীর চিকিত্সা চলছে। নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি এবং পালমোনোলজি বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল টিম তার শারীরিক অবস্থার সর্বক্ষণ নজর রাখছে।

মোদি ছাড়াও বাজপেয়ীকে দেখতে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, হর্ষবর্ধন এবং বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি। গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানিও।

কিডনি, মূত্রনালী এবং বুকে সংক্রমণের জন্য গত ১১ জুন এইমস-এ ভর্তি হন বাজপেয়ী। হাসপাতাল সূত্রে সে দিন জানানো হয়েছিল, রুটিন চেক আপের জন্যই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে ভর্তি করানো হয়েছে। বাজপেয়ীর ভর্তি হওয়ার খবর পেয়েই সে দিন সন্ধ্যায় এইমস-এ দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখে আসেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

দীর্ঘ দিন ধরেই বাজপেয়ীর একটি কিডনি অচল। ২০০৯ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে তার স্মৃতিশক্তিও অনেকটাই লোপ পায়।

১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রথম দফায় তেরো দিন, দ্বিতীয় দফায় তেরো মাস আর তৃতীয় দফায় পূর্ণ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.