195457

১২ সদস্যের মুসলিম পরিবার এখন হিন্দু ধর্ম পালন করছেন!

ছেলে হত্যার সুবিচার পেতে ধর্ম বদল করেছে ১২ সদস্যের এক মুসলিম পরিবার। হলফনামার মাধ্যমে মুসলিম ধর্ম থেকে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করে পরিবারটি।

ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতের বরারখা জেলায় এ ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। প্রশ্নে উঠেছে সেখানকার পুলিশের ভূমিকা নিয়েও।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাগপতের বরারখা জেলার বাসিন্দা আখতার। মাসখানেক আগে তার ছেলে গুলহাসানের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পরিবারের অভিযোগ, ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে। পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগও করেন বাবা আখতার।

কিন্তু পুলিশ খুনের অভিযোগ না নিয়ে সেটাকে শুধু আত্মহত্যার ঘটনা বলে মামলা রুজু করে। এ কারণে প্রচণ্ড হতাশ হন আখতার। শেষমেশ ছেলের হত্যার সুবিচার পেতে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন আখতার ও তার পরিবারের ১২ জন সদস্য!

বাগপতের জেলা শাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার জানান, পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্ট না হয়ে আখতার ও তার পরিবার ধর্ম পরিবর্তন করেন বলে জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার রীতিমতো যজ্ঞ করে ধর্ম পরিবর্তনের আয়োজন করে রাজ্যের যুব হিন্দু বাহিনী।

রাজ্যের যুব হিন্দু বাহিনীর (ভারত) প্রধান সৌখেন্দ্র খোখার বলেন, হিন্দু রীতিনীতি মেনেই নাম পরিবর্তন করেছেন আখতারের পরিবার। এ জন্য যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল।

তিনি জানান, খুনের প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিয়ে পুলিশ সেটা আত্মহত্যা বলে মামলা রুজু করায় আখতার প্রচণ্ড হতাশ হয়ে এ সিদ্ধান্ত নেন।

সৌখেন্দ্র খোখার আরও বলেন- শুধু তাই নয়, স্বধর্মের লোকজনের কাছে সাহায্যের আশায় ছুটে গিয়েছিলেন আখতার। অভিযোগ, সেখানে কোনো সহযোগিতা পাননি। কেউই তার পাশে দাঁড়াতে চাননি। একদিকে পুলিশের ভূমিকা এবং অন্যদিকে স্বধর্মী লোকজনের আচরণ- এই দুই কারণে আখতার প্রচণ্ড অসহায় হয়ে পড়েন। আর সেই কারণেই পরিবারকে নিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করেন তিনি।

তবে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান বাগপতের জেলা শাসক ঋষিরেন্দ্র কুমার। সূত্র: আনন্দবাজার

পাঠকের মতামত

Comments are closed.