197418

ফোরজি সেবা চালু করছে টেলিটক

অনলাইন সংস্করণঃ- রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক চলতি বছরের মে ও আগস্ট মাসে দুই দফা চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট ফোরজি সেবা চালু করার উদ্যোগ নিলেও তাতে সফল হয়নি।

অবশেষে দেশের ৪৮তম বিজয়ের দিনে ১৬ ডিসেম্বর পূর্ব নির্ধারিত সময়ে এ সেবা চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ জন্য কোনো সাংবাদিক আমন্ত্রণ বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও প্রকাশ করেনি।

দেশের বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এ সেবা চালু করার ১০ মাস পর ঢাকার নির্দিষ্ট ১২টি স্থানে অনেকটা নীরবে ফোরজি সেবা চালু করলো টেলিটক।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাব উদ্দিন বলছেন, চলতি মাসেই রাজধানীজুড়ে এ সেবা চালু করতে পারবে টেলিটক। এছাড়া চট্টগ্রামে দুই সপ্তাহের মধ্যেই ফোরজি পৌঁছে যাবে।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন ৩০টি বিটিএসে (টাওয়ারে) ফোরজি কাভার করতে পারছি। সে হিসেবে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকার সব স্থানে টেলিটকের ফোরজি পাওয়া যাবে এবং দেশজুড়ে পাওয়া যাবে ধাপে ধাপে।

শুরুতে রাজধানীর গুলশান, নিকেতন, বারিধারা, বনানী, রমনা, মতিঝিল, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, শ্যামলী, ফার্মগেট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েট এলাকায় টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক পাবেন গ্রাহকরা।

টেলিটক কর্মকর্তাদের দাবি, এই নেটওয়ার্কেই গ্রাহকরা পাবেন সেরা গতির ইন্টারনেট। টেলিটক ফোরজি’র ডাউনলোড স্পিড থাকবে ৪০ এমবিপিএস ও আপলোড স্পিড থাকবে ১৫ এমবিপিএস।

যদিও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফোরজির গতি ন্যূনতম ৭ এমবিপিএস নির্ধারণ করেছে। তবে টেলিটক নির্ধারিত গতির চেয়েও নিয়মিত বেশি দেয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

টেলিটকের থ্রিজি গ্রাহক স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোরজি সেবাতে কভার্ট হয়ে যাবে। এ জন্য আলাদা করে নতুন সিম নিতে হবে না। তবে মাইগ্রেট করার জন্য বর্তমান থ্রিজি গ্রাহকদের ‘৪জি’ লিখে ‘১১১’ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লাইসেন্স পেয়ে ফোরজি প্রযুক্তি চালু করে দেশের বেসরকারি তিন মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। তবে ইতিপূর্বে থ্রিজির সময় সব অপারেটরকে একই দিনে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল।

যদিও টেলিটক বাদে অন্য অপারেটরগুলো এক বছর পর থ্রিজি সেবা চালু করার অনুমতি পায়। তবে টেলিটক তখনও কোনো সুবিধা করতে পারেনি।

টেলিটক সূত্রে জানা গেছে, অপারেটরটি ফোরজি সেবা চালু করার জন্য ৯৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছিল।

এর মধ্যে ৫৫০টি টাওয়ার ইতিমধ্যে দেশের প্রধান জেলা শহরগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৫৫০টি টাওয়ার চালুর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

বিটিআরসির সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য (অক্টোবর ২০১৮) অনুযায়ী দেশে মোট সক্রিয় মোবাইল ফোন গ্রাহক ১৫ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার। এর মধ্যে টেলিটকের বর্তমান সক্রিয় গ্রাহক ৩৪ লাখ ৯৩ হাজার। যা মার্কেট শেয়ারের দুই শতাংশ মাত্র।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.