200060

পালং শাকের ১০টি চমকপ্রদ উপকারিতা

অনলাইন সংস্করণ:- আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক-সব্জি থাকা এক কথায় বাঞ্ছনীয়। কারণ এটি ছাড়া সুষম খাবারের শর্তই পূরণ হয়না। আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় শাক সবজি রাখা। তাই যে খাবারটি প্রতিদিনের তালিকায় থাকবে সেটি সম্পর্কেও আমাদের সবারই কিছু ধারনা রাখা উচিত। আজ তাই পালং শাকের কিছু উপকারিতা জানাতে চাই। এটি এমন একটি সবজি যার রয়েছে অনেক ধরনের উপকারিতা এবং এটি নিয়মিতভাবে খেলে কখনোই আফসোস করবেন না। চলুন, জেনে নিই।

পুষ্টিগুণে ভরপুর-
এক কাপ পালং শাক খাদ্য আঁশের দৈনিক চাহিদার ২০% পূরণ করার সাথে সাথে ভিটামিন এ ও কে-এর দৈনিক চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এতে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, ফলিক এসিড ও সেলেনিয়াম রয়েছে। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম এর জন্য অপরিহার্য।

কম ক্যালরি যুক্ত-
কম ক্যালরি যুক্ত খাবার বাছাই করার ক্ষেত্রে পালং শাক হচ্ছে উপযুক্ত একটি সবজি। কারণ ১০০গ্রাম পালং শাকে রয়েছে মাত্র ৭ কিলোক্যালরি।

রক্তচাপ কমায়-
এতে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়ামের কারনে পালং শাক রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে-
এই সবজিতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকার ভালো মাত্রা বজায় রাখে যা দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করার মূল উপদান। এবং তা দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণ ও রোগ থেকে রক্ষা করে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে-
পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। এই পলিনিউট্রিয়েন্টস গুলো দেহের ফ্রি র‍্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে।

চোখের সুরক্ষায়-
সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেন সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা দৃষ্টি শক্তির ক্ষতি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে সাহায্য করে।পালং শাকে রয়েছে উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন যা চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকের সুরক্ষায়-
পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, বলিরেখা পড়া ইত্যাদির দূরীকরণেও বেশ কার্যকর। এছাড়া এটা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করে এবং ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে-
এটা শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।এতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার আয়রন যা দেহে অক্সিজেন উৎপাদনের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া এতে রয়েছে লিম্ফোবিক এসিড যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি ও ই কে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। এটা রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং দিনের বেলার ক্লান্তিভাব দূর করে।

প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য-
পালং শাকে আছে নিওজেন্থিন যা প্রদাহ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাদের জয়েন্টে ব্যাথা আছে তারা অবশ্যই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখলে উপকার পাবেন।

হৃদ যন্ত্রের সুরক্ষায়-
এই সবজিতে থাকা ফলিক এসিড সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের সকলেরই উচিত, যে সবজির এতো উপকারিতা সেই সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য সবজিটি আমাদের খাদ্য তালিকায় নিয়মিতভাবে রাখার। লেখক শওকত আরা সাঈদা(লোপা) জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্‌থ খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ) তথ্য সূত্র- হেলদি ফুড অ্যাডভাইস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.