205843

নারিকেল বা সরিষার তেল না দিয়ে চুলে দিন নিম তেল, পার্থক্য নিজেই দেখতে পারবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক : আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তেলের ব্যবহার সেই প্রাচীন আমল থেকে হয়ে আসছে। তেলের ব্যবহারেও আছে তারতম্য আছে পার্থক্য। কেউ নারিকেল তেল,কেউ সরিষা কেউবা আবার অলিভ অয়েল। কিন্তু চুলের জন্য নিম তেল কতটা জরুরী বা ‍উপকারী সেটা কি জানে?

চুল পড়ছে? হেয়ার প্যাক থেকে শুরু করে পার্লারে গিয়ে হেয়ার ট্রিটমেন্ট৷, কোন কিছুই বাদ যায়নি। কিন্তু, তারপরেও কমেনি হেয়ারফলের সমস্যা। আর, এই হেয়ারফলের সঙ্গে অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করেছে খুশকি। যা সমস্যাকে বাড়িয়ে দিয়েছে দ্বিগুণ পরিমানে। কিন্তু, সমস্যার দিন শেষ৷ কারণ, আপনার হাতের কাছেই রয়েছে সমাধান।

১) নারিকেল তেল- কোকোনাট ওয়েলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যথেষ্ট বেশি পরিমানে থাকে। যেটি ড্যানড্রপ তাড়াতে বিশেষ উপযোগী। নারিকেল তেলকে হালকা গরম করে লেবুর রস মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। রেখে দিন। ৪৫ মিনিট পরে ভাল করে ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে কোন মাইল্ড শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন।

২) সরষের তেল- সরষের তেলেও যথেষ্ট পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। ভারতের উত্তরের বাসিন্দারা সৌন্দর্ষ বৃদ্ধির জন্য প্রচুর পরিমানে সরষের তেলের ব্যবহার করে থাকেন। হালকা হাতে স্ক্যাল্পে সরষের তেলের ম্যাসাজ ব্লাড সার্কুলেশনকে বাড়ায়। এছাড়া, ভাল ফলের জন্য নারকেল এবং সরষের সেলের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।

৩) অলিভ ওয়েল- রান্নাঘরে অলিভ ওয়েলের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু, জানেন কী এই রান্নার সেলই আপনার সৌন্দর্য বাড়াতে পারে অনেকখানি। অলিভ ওয়েলে থাকা নানা উপাদান চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপযোগী। ভাল ফল পেতে দুই চামচ অলিভ ওয়েলের সঙ্গে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে নিন। স্ক্যাল্পে ম্যাসেজ করে এক ঘন্টা রেখে দিন। এরপর, শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে।

৪) নিম তেল- নিমকে আমরা অনেকেই অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান বলে জানি। বিভিন্ন রোগ সারাতেও নিমের জুড়ে মেলা ভার। এছাড়া, স্টম্যাক ইনফেকশন এবং ব্লাড পিউরিফাই করতেও সাহায্য করে নিম। সেভাবেই সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজে লাগে নিম। এক চামচ নিম অয়েলের সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার করুন।

সময়ের সঙ্গে বেড়েছে দূষণের মাত্রাও। ঘরে হোক কিংবা বাইরে, সর্বত্রই দূষণ। রেহাই নেই। অনেককে আবার নিত্যদিনের ব্যস্ততার জন্য রাস্তায় বেরোতেই হয়। যার ফলে ধীরে ধীরে ড্যামেজ হতে থাকে চুল, ত্বক সবকিছুই। আর, তখনই মিনিটে ফল পাওয়ার আশায় দৌড়োন পার্লারে। কিন্তু, সেখানেও মেলে না কোন স্থায়ী সমাধান। তাই, পার্লার ছাড়ুন। এবার ঘরোয়া উপায়গুলিকে ফলো করে রেহাই পেতে পারেন দীর্ঘদিনের সমস্যা থেকে। কলকাতাটুয়েন্টিফোর

পাঠকের মতামত

Comments are closed.