206565

ভিডিও গেম কেড়ে নিলো স্কুল শিক্ষার্থীর জীবন

অনলাইন সংস্করণঃ- ভিডিও গেম খেলে আবরার মাহমুদ (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে। গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, আবরার মাহমুদ চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তার বাবা মো. নুরনবী দুবাই প্রবাসী। মা সোলতানা রাজিয়া নগরীর ষোলশহর জামেয়া সুন্নিয়ার মহিলা মাদ্রাসা শাখার শিক্ষিকা। তার একমাত্র বড় বোন কলেজ ছাত্রী। পাঁচলাইশ শ্যামলী আবাসিক এলাকার ভাড়া বাসায় থাকতো তারা।

তার মায়ের উদ্ধৃতি দিয়ে পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম জানান, আবরার মাহমুদ মঙ্গলবার বিকেলে বাসায় একা ছিল।
এর আগে তার মা বাসা থেকে বোরোনোর সময় আবরার সোফায় বসে মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিল। ঘন্টাখানেক পর এসে দেখে আবরার সোফায় নেই। ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে পরে বাথরুমের দরজা খুলে দেখে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আবরার ঝুলে আছে।

এরপর আবরারকে উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। শ্বাসরোধে আবরার মাহমুদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। ধারণা করা হচ্ছে ভিডিও গেমে আসক্ত হয়ে আবরার আত্মহত্যা করেছে।

তার মা সোলতানা রাজিয়া বলেন, বাসা থেকে বেরোনোর সময় দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। বাইরে থেকে এসে তালা খুলে বাসায় প্রবেশ করি। এ কারনে আবরারকে কেউ হত্যা করার সন্দেহ অমুলক। সে রকম কোনো শত্রুতাও কারও সাথে নেই আমাদের।

জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবরার ভিডিও গেমই খেলছিল। মোবাইলে খেলাটিও অন অবস্থায় পাওয়া গেছে। এরমধ্যে সে কেন আত্মহত্যা করল তা বুঝে উঠতে পারছি না।

পাঁচলাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কাসেম ভূইয়া জানান, স্কুল ছাত্র আবরার মাহমুদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লাশ মা-বাবাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্তা নেওয়া হবে।

সূত্র মানবজমিনঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.