215949

ওষুধ ছাড়াই যেভাবে কমাবেন ডায়াবেটিস

অনলাইন সংস্করণঃ- আগে বলা হতো, একবার ডায়বেটিস হলে তা নাকি সারাজীবনেও ভালো হয় না। কিন্তু এখন আর তা সত্য নয়। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সমীক্ষার মাধ্যমে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন। তাদের মতে, সতর্কভাবে সঠিক খাবার খাওয়া হলে ডায়বেটিস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

ওজন কমানো

খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে অতিরিক্ত ওজন কমানোর মাধ্যমে ডায়বেটিস শতকরা ৯০ ভাগ কমানো সম্ভব। যদি সে রোগীর ডায়বেটিসে ভোগার সময়কাল চার বছরের কম হয়ে থাকে। একথা জানান, জার্মান ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞ প্রফেসার স্টেফান মার্টিন।

বাদ দিতে হবে নুডলস

নুডলস বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের শর্করা রক্তে চিনির মাত্রা মুহূর্তের মধ্যেই বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে শরীরের কোষে ইনসুলিন হরমোন ছড়িয়ে পড়ে। তাই ডায়বেটিস রোগীরা তাদের খাদ্যতালিকা থেকে এই খাবারটি বাদ দিন।

দিনে মাত্র ৬০০ ক্যালোরি

২০০ ডায়বেটিস রোগী নিয়ে করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডায়াবেটিস রোগীরা কড়া ডায়েটিং করে। অর্থাৎ দিনে মাত্র ৬০০ ক্যালরি প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পর ঔষুধ সেবন বন্ধ করতে পেরেছেন। তাছাড়া দীর্ঘ তিন মাস শর্করা জাতীয় খাবার পুরোপুরি বাদ দিয়ে শুধু প্রোটিনযুক্ত খাবার খেয়েও একই ফল পাওয়া গেছে।

তিন বেলা প্রোটিন

তিন সপ্তাহ ধরে তিন বেলাই প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে অবশ্যই রক্তে চিনির মাত্রা কমে যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ স্টেফান মার্টিন। মাছ, মুরগি, ডিম, মটরশুটি এবং দুধ জাতীয় খাবারে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। তাই নিয়ম করে তিন বেলাই প্রটিন খান।

বাদামও খুব উপকারী ডায়াবেটিস রোগীকে প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম, আখরোট খাওয়ার কথা পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কারণ, বাদামের ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিনের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

পাতে চাই সবজি-সালাদ

সবজি ও সালাদে ক্যালরি প্রায় নাই বললেই চলে। কিন্তু এতে থাকা পানি পেট ভরায় এবং খুব ধীরে ধীরে রক্তে প্রবেশ করে। আর সালাদের সাথে অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিলে দীর্ঘ সময় খিদেও পায় না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের প্রচুর সালাদ খাওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

যত খুশি খান স্ট্রবেরি-আপেল

এ সব ফলে অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক কম শর্করা রয়েছে। কাজেই ওজন কমাতে এবং ব্লাডপ্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোনো চিন্তা না করে এ ধরনের ফল যত খুশি খাওয়া যায়।

বাইরের খাবার বাদ দিন

ডায়াবেটিস রোগীর এক প্লেট খাবারের অর্ধেকটাই হতে হবে সালাদ বা সবজি। আর বাকি অর্ধেকের চার ভাগের তিন ভাগ প্রোটিনযুক্ত খাবার। আর বাকি এক ভাগে থাকতে পারে শর্করা জাতীয় খাবার। তাই বাইরের কেনা খাবার একেবারেই বাদ দিন।

আর উপরের এই নিয়মগুলো মেনে চললে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব সহজ।

 

 

সূত্র ডয়েচে ভেলেঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.