216063

নাক ডাকলে নারীদের যে ক্ষতি হয়

অনলাইন সংস্করণঃ- নাক ডাকার সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে মিউনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক একটি পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেছে দীর্ঘদিন ধরে নাক ডাকার সমস্যা থাকলে হার্টের ডান ও বাম ভেন্ট্রিকুলারের এত মাত্রায় ক্ষতি হয় যে নানা রকম হার্টের অসুখ হতে পারে আর তা নারীদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। কিন্তু এমন ক্ষতি পুরুষদের থেকে নারীদের কেন বেশি হয়, সে সম্পর্কে যদিও জানা যায়নি। তবে কারণ যাই হোক না কেন নাক ডাকার চিকিৎসা শুরু না করলে হবে বিপদ। তাই নাক ডাকা কমাতে জেনে নিন এই ঘরোয়া উপায়গুলো।

আদা চা

আদা চা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়ায়। যার প্রভাবে নাকের ভিতরের শ্বাস প্রশ্বাসের রাস্তা খুলতে শুরু করে। ফলে নাক ডাকার প্রকোপ কমে।

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার

নাকের ভিতরে মিউকাস জমতে শুরু করলে বাতাস চলাচল করতে পারে না। ফলে শব্দ বের হয়। তাই লেবু, কমলা, জাম্বুরা জাতীয় ফল খেতে হবে। এতে নাকে সর্দি বা মিউকাস দূর হয় ও নাক ডাকার প্রবণতাকেও কমে।

হলুদ

অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে পরিপূর্ণ হলুদ ইনফ্লেমেশন কমাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে নাক ডাকার প্রবণতাও। এক্ষেত্রে প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে খান।

মধু

রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে নাকা ডাকার সমস্যা কমবে।

অলিভ অয়েল

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুই চামচ অলিভ অয়েল খেলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে নাক পরিষ্কার হয় আর বাতাস চলাচলে বাঁধা না হলে নাক ডাকার সম্ভাবনা কমে।

রসুন

নাকে মিউকাস জমতে দেয় না এটি। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয় এবং কমতে শুরু করে নাক ডাকার সমস্যা। এক্ষেত্রে নিয়মিত ১-২ টি রসুনের কোয়া চিবিয়ে, এক গ্লাস পানি খেয়ে ঘুমাতে যান।

এলাচ

নাক ডাকা কমাতে নিয়মিত ঘুমানোর আগে এলাচ চা খান। এটি শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে ভাল কাজ করে।

 

সূত্র বিডি জার্নালঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.